স্টাফ রিপোর্টার \ টাঙ্গাইলে সৃষ্টি কোচিং সেন্টারের ৫ম শ্রেনির ছাত্র শিহাবের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। শিহাবের পরিবার থেকে বারবার পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের দাবী করা হলেও পুলিশ বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া সঠিক ভাবে কিছু করা সম্ভব না।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন জানান, শিহাবের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ময়নাতদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেলার বাইরে থাকায় এবং ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়ায় এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় আমরা সর্তকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি।
এদিকে আজও সৃষ্টি কোচিং এর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অবিলম্বে শিহ্যাবের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। তারা সেখানে অবস্থান করে কোচিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ সহ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন। এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র/ছাত্রীদের একাংশ কোচিং ভবনে ভাংচুর চালায়। ভাংচুরে আতংকিত হয়ে আশেপাশের লোকজন দিকবিদ্বিক ছুটোছুটি শুরু করে। বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও অংশ নেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য গত ২০শে জুন সোমবার বিকালে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র শিহাবের (১২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়। আবাসিক ভবনের বাথরুমে তাকে গলায় গামছা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিহাব টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বেরবাড়ি এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। তার পরিবারের দাবী এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন একটি মহল টাকার বিনিমিয়ে তাদের সন্তানের হত্যার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে। তারা শিহাব হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের জন্য টাঙ্গালের সচেতন মহলের সহযোগীতা কামনা করছেন।