স্টাফ রিপোর্টার- আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সাতটি ফ্লাইওভার থেকে গ্রাফিতি (দেয়াল লিখন) ও সাঁটানো পোস্টার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২ এর ৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আগামী সাত দিনের মধ্যে একটা মনিটরিং টিম করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে টিম ফ্লাইওভারগুলোতে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ করবে।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সরওয়ার আহাদ ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ই রিট দায়ের করেন। রিটে রাজধানীর সব ফ্লাইওভারের দেয়াল থেকে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিট আবেদনে ফ্লাইওভারের দেয়ালে পোস্টারিং ও দেয়াল লিখন বন্ধে তদারকি কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ‘নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্ট লাগানো যাবে না। আইনে বলা হয়েছে, কোনও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগাইবার জন্য প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা স্থান নির্ধারণ করে দিতে পারবে এবং উক্তরূপে নির্ধারিত স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, উল্লিখিত নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে এবং নির্দিষ্ট ফি প্রদান সাপেক্ষে দেওয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে। কোনও ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ।