স্টাফ রিপোর্টার- ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ঘিরে নতুন নিরাপত্তা জোটের আর্বিভাব হচ্ছে। জোটগুলোর বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ’র আয়োজনে এক সেমিনারে আলোচকরা এই পরামর্শ দেন। তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক বা চীনের গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের মতো কোনও ধরনের নিরাপত্তা জোটে এ মুহূর্তে যুক্ত হওয়া উচিত হবে না বাংলাদেশের। কিন্তু ঢাকা যেহেতু চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সদস্য, সেজন্য অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরামের বিষয়ে স্টাডি করা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা ও তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন কারণে বড় শক্তিগুলো আকৃষ্ট হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সদস্য হয়েছে। নতুন অর্থনৈতিক জোট ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম সম্পর্কে বাংলাদেশের আরও খোঁজ-খবর করা দরকার, যাতে করে এর সুবিধা সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, ‘চীনের অর্থনেতিক জোট আরসেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইপিইএফ— দুটি সংস্থাতেই বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।’
জাপান উন্মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক চায় জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সবসময় অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক চেয়েছি এবং এজন্য আমরা এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
চার-জাতি কোয়াড কোনও সামরিক জোট নয় এবং এটিকে মিলিটারি অ্যালায়েন্স করার কোনও ইচ্ছা দেশগুলোর নেই বলে তিনি জানান।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল আছে। এর সাতটি পিলারের ছয়টি পিলার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
ইইউ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে বাংলাদেশ নেতা হিসেবে উদীয়মান হচ্ছে।