স্টাফ রিপোর্টার- কোনোভাবেই যেন কমছিল না গরম। টানা ১৯ দিনের দাবদাহের পর অবশেষে আজ (শুক্রবার) বিকেলে স্বস্তির বৃষ্টির পরশ এসেছে রাজধানীতে। এ যেন ঈদের আগের দিন ঈদ উপহার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, আজ সিলেটে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি বেশি সময় ছিল না। কিন্তু এ বৃষ্টি চলমান তাপপ্রবাহ কিছুটা কমিয়েছে। রাত শনিবার পর্যন্ত কয়েক দফায় এ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির স্থায়িত্ব দীর্ঘ না হলেও তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, ঈদের দিন (শনিবার) সারা দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বৃষ্টি টানা সব জায়গায় না হলেও থেমে থেমে কোথাও কোথাও হতে পারে। এই বৃষ্টির ফলে সারা দেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে আসতে পারে।
ঈদের দিন সম্পর্কে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি; আর ঢাকার বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস রয়েছে। কোথাও তাপপ্রবাহ বিরাজ করলেও বৃষ্টির পর গরম কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিগত ৫৮ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সম্মুখীন দেশবাসীকে অবশেষে স্বস্তি দিয়েছে বিকেলের বৃষ্টি। বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হওয়ায় এরমধ্যে তাপমাত্রা কমা শুরু হয়েছে। নগরবাসী বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন। সেই জায়গায় স্বস্তির সুবাতাস এসেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম,রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ৮ বিভাগের অস্থায়ী দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। তবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে কিছু জায়গা তা প্রশমিত হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবার দেশে একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, এটা অব্যাহত থাকবে। আগামী দুই দিন দেশের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা।
এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। তাপমাত্রা কমছে রাজধানীতেও। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা কমে হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।