Search
Close this search box.

শেখ রাসেল হত্যার দায় জিয়াউর রহমানের  –সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী 

স্টাফ রিপোর্টার- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল হত্যার দায় জিয়াউর রহমানের। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে জিয়া ও তার মদদপুষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। এতে বাদ যায়নি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলও।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কে এম খালিদ বলেন, জন্মদিন আমরা সাধারণত আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে উদযাপন করে থাকি। জন্মদিনে নানা রঙের বেলুন ওড়ানো হয়, শিশুরা গাইতে থাকে। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনের সময় আমরা বেদনায় নীল হয়ে যাই।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন বিনয়ী, অতিথি পরায়ণ, বন্ধুবৎসল, ত্যাগী, সামাজিক এবং শিক্ষকের কাছে প্রিয় একজন শিশু। জাতীয়ভাবে শেখ রাসেল দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এরকম একজন প্রাণবন্ত, নির্মল ও নির্ভীক শিশু সম্পর্কে জানানো যাতে তারা তার জীবন ও আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে, নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারে।

শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে আবুল মনসুর বলেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব আর যেন কোনো শিশু এধরনের নির্মমতার শিকার না হয়। তিনি বলেন, সোনার সন্তানের প্রতিটি গুণাবলি ছিল শেখ রাসেলের মধ্যে। শেখ রাসেলের মতো নির্ভীক, প্রাণবন্ত ও নির্মল যেন হয় প্রতিটি শিশুর জীবন।

মূল প্রবন্ধে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা শেখ রাসেলকে বাঙালির নতুন প্রজন্মের প্রতীক অভিহিত করে বলেন, শেখ রাসেলের হাসিমাখা মুখ চিরায়ত বাঙালির মুখ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুবকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ