স্টাফ রিপোর্টার- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা, আর বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেখতে মনে হয় ভদ্রলোক, আর অন্তরে বিষ। একটা মানুষ এত মিথ্যা কথা বলতে পারে, সেরা মিথ্যাবাদীর নাম মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুলের দেশ পাকিস্তান নাকি ভালো ছিল। আজ পাকিস্তানের রিজার্ভ মাত্র ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি।
রাজধানীর ধোলাইখালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা এ বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দুটি গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অর্থ পাচারকারী তারেক লন্ডনে আছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক দেশে ফিরবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্নীতিতে বিএনপি পর পর পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা! এরা চুরির কথা বলে, ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। বিএনপিকে উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন, বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারে চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে।
বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন জখম হয়ে গেছে! ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তা হলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না। একদিনে একশ’ রাস্তা, একশ ব্রিজ হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করেননি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে, ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন।
গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রশাসক জন্ম নেয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে তার নামে হাওয়া ভবন তৈরি হতো। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতেন না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছেন, ভূমিহীনরা ভূমি পাচ্ছেন।
বিএনপির পায়ের তলায় মাটি থাকলে নির্বাচনে এসে প্রমাণ করুক। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতুক কিংবা হারুক- সব সময় দেশের মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।