ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সবসময়ই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সন্ত্রাস-সহিংসতা ও মিথ্যা প্রচার করেছে। সম্প্রতি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাঈদীর মৃত্যুকে অজুহাত করে যুদ্ধাপরাধের পক্ষে প্রচার ও সহিংসতা কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল, তাকে পথভ্রষ্ট করতে একইভাবে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা প্রচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতা ১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে আমাকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছিল। দেশবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদে আমি বেঁচে গেলেও আজ পর্যন্ত ওই হত্যা প্রচেষ্টার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়নি।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ওয়ার্কার্স পার্টি কার্যালয়ে ১৭ আগস্ট ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবসে’র কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ওয়ার্কার্স পার্টির চিকিৎসা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ রক্তদান ও হেপাটাইসিস বি ও সি স্ক্রিনিং কর্মসূচিরও আয়োজন করে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ওই সময় জনগণের আন্দোলনের চাপে আমাকে লন্ডনে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থার সকল ব্যয়ভার আমাকে ও আমার পরিবার-শুভানুধ্যায়ীদের বহন করতে হয়। এমনকি উত্তরায় আমার পিতার দেওয়া জমিতে ব্যাংক ঋণে নির্মিত বাড়িটি পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বিক্রি করতে হয়। আজ এত বছর পরে সেই হত্যা প্রচেষ্টার স্মরণ করে বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রতিক দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন যে, বিদেশি জুজুর ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত করা যাবে না।
পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে ও মোস্তফা আলমগীর রতনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হেপটোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল, ইএনটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, আইনি অর্থনীতিবিদ এম এস সিদ্দিকী। আলোচনা সভার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ সন্ধানী রক্ত সংগ্রহ করে ও হেপাটাইসিস বি ও সি স্ক্রিনিং করা হয়।