সরকারের পদত্যাগের আল্টিমেটামসহ ৪ দফা কর্মসূচি দিলো চরমোনাই। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাবেশে থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবৈধ সংবিধানের অজুহাতে বিরোধীদের উপর দমন নিপিড়ন করতে থাকলে জণগণ প্রতিহত করবে।
এরপর আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে, কারাবন্দী আলেম-ওলামা, বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৪ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, আমরা রক্তপাত চাই না, ভোটের অধিকার রক্ষার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। দ্রব্যমূল্যের চড়া দামের কারণে মানুষ বাজারে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে ফিরে আসে। দুমুঠো খাবারের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকরা আন্দোলন করছে, তাদেরকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে জণগনের বুকেই সেই অস্ত্র ব্যবহার করছে। এমন পরিস্থিতিতেও ক্ষমতা টিকে থাকতে গুলি চালাবেন, মানুষ বসে থাকবে না।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, মানুষ বাস্তবিক অর্থে কারাগারে অবদ্ধ, নিরপেক্ষ সরকার বাংলাদেশে দিতেই হবে। সরকার দুর্নীতি আর লুটতরাজ করে মজা পেয়ে গেছে, তাই যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
বিরোধী দলের নেতাদের যেভাবে মামলা দিয়ে আটকানো হয়েছে, ভাবছে ধমানো যাবে। কিন্তু সম্ভব না। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আপনি ক্ষমতা আসেন। অন্য উপায় অবলম্বন করতে চাইলে জনগণ মোকাবেলা করবে।
ন্যায় দাবি আদায়ে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ইসলামী আন্দোলন। ১৪, ১৮ এর মতো নির্বাচন করবেন, জনগণ নাকে তেল দিয়ে বসে থাকবে না। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
চরমোনাই এর ৪ দফা কর্মসূচি হলো-
১. ১০ নভেম্বর এর মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকার গঠন
২. আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারাগারে থাকা বিরোধী নেতাদের মুক্তি দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন
৩. দাবি না মানলে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সাথে বসে একসাথে আন্দোলন
৪. জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের আন্দোলনে সমর্থন