সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (২১ এপ্রিল) দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। তাদেরর প্রতি জনগণের একধরনের ঘৃণা রয়েছে। যে কারণে জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা তাদের দুঃশাসনের, দুর্বিষহ দিনগুলোয় জনগণকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের জনগণকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিএনপি ও তার দোসরদের যৌথ উদ্যোগে প্রযোজিত-পরিচালিত সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে এখন রাষ্ট্রযন্ত্রকে একটা ঝাঁকি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি। এই ঝাঁকুনি হলো বারবার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিন দিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে।
বিএনপির অর্জনগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে বলে দলটির মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্ধকারের অপশক্তি, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিভূ সন্ত্রাসী দল বিএনপি দেশের অগ্রগতি ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কী ভূমিকা রেখেছে? বরং দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে হত্যা, গুম ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রচলন করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বিরোধী দল ও মত দমনে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিএনপির আমলে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তো ওঠেইনি, বরং তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে সেগুলোকে যেন বিএনপির কার্যালয় ও হাওয়া ভবনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। এগুলোই বিএনপির অর্জন, যা জনগণ বর্জন করে আসছে। জনগণ দ্বারা বর্জিত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ চেয়েছে বলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে। দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার যে জনগণের সেবক, বাংলাদেশে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগই। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিপক্ষরা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।