স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর কারাগারে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত না করলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।
শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভয়ে মরা নয়, সাহস করে লড়াই করুন। পরিবর্তন করতে হলে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ দখলদার সরকার। তারা দেশকে ও দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতাকে ধ্বংস করছে। কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দু’পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খেটে খাওয়া শ্রমিকরা চাল-ডাল, তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ চিকিৎসা পায় না। লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লুটের সঙ্গে জড়িত। আমরা চিন্তা করতে পারি না। তিনি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। আজকে পুলিশের সাবেক প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এনবিআরের কর্মকর্তা জড়িত। এমন আরও অনেকেই আছে। কিন্তু রাঘব-বোয়ালদের ধরা হয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ওয়ার্ডসহ ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক বিএনপিও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা প্লেকার্ড ও নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সমবেত হন তারা। সমাবেশ শুরুর আগেই নয়াপল্টন প্রধান সড়ক, ফকিরাপুল ও কাকরাইল এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে মহানগর উত্তরের আওতাধীন সকল থানাও ওয়ার্ড, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা যোগ দেন। ঢাকা মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, বিএনপি নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ইউনুস মৃধা, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, হাজী মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন, আনম সাইফুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, শ্রমিক দল উত্তরের আহ্বায়ক শাহ আলম রাজা সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য অ্যাড মকবুল হোসেন সরদার, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, এবিএমএ রাজ্জাক, মাহফুজুর রহমান, কাউন্সিলর আলী আকবর, মকবুল ইসলাম খান টিপু, শাহ আলম, জামশেদুল আলম শ্যামল, তেজগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মেতালেব হোসেন রতন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএস আহমাদ আলী, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম ফজলুল হক যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার, আদাবর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন স্বাধীন, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ গাজী, রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. মজিবুল হক, অলিউল হাসনাত তুহীন, খায়রুল আলম নয়ন, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম শাহজালাল সিকদার, সবুজবাগ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল রহিম, ডেমরা থানা বিএনপির নেতা আনিসুজ্জামান ও সেলিম রেজা, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির ৪৮নং ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের আওতাধীন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড এবং ঢাকার আশেপাশের মহানগরগুলোর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনসহ এর আশেপাশের এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।