স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা অকৃতজ্ঞ। ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াকেও দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন-বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার সন্তান। আমি এই মাটি ছেড়ে কোথাও যাব না। এমনকি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিতে তিনি সেমময় বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাকে আটকে রাখা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এসব কথা বলেন।
আলাল আরও বলেন, আজকে খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তো দূরের কথা শেখ হাসিনা তাঁকে জেলে রেখে তাঁর সাধারণ সম্পাদক দিয়ে খেলা হবে খেলা হবে বলছেন। নির্মম, নিষ্ঠুর ও রসিকতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল পুঁজি। সেটা আমরা অতীতেও দেখেছি শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে।
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ২০১১ সালের ৬ জুলাই সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ)।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুককে যারা অমানবিকভাবে টানা হেঁচড়া করেছেন তারা আসলে পুলিশের লোক নয়, তারা পুলিশ লীগের লোক। এই লীগ করতে করতে আজকে দেশটাকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন আবারও নাকি খেলা হবে। তাদের এতোই খেলাধুলার ইচ্ছা যে সংসার টিকে না। চলে যায়। তাদেরকে নিঃস্বঙ্গ জীবন-যাপন করতে হয়। আমি বলবো খেলার ইচ্ছা থাকলেই রাষ্ট্রকে নিয়ে খেলবেন না। সাধারণ মানুষের জীবনকে নিয়ে বারবার খেলবেন না।
আলাল বলেন, দেশের মানুষ আজ অতীষ্ঠ। বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। তারা শরীরের দরকারি জিনিস প্রোটিন ঠিকমতো সংগ্রহ করে খেতে পারে না। তারা অত্যাচারে জর্জরিত। তারমধ্যেও বড় বড় কথা আর নিজেদের যা খুশি তাই করা। দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করেছে।
আলাল আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি আসবে। আপনারা সকলে সেই আন্দোলনে পূর্বের ন্যায় শামিল হবেন। কারণ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে না পারলে দেশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চাই না। তবে ট্রানজিট ও করিডোরের নামের তাদের গোলামিও করবো না।
এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদেরকে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান।
জিসফ’র সভাপতি মনজুর রহমান ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও ফোরামের নেতা সোহেল রানা ও এইচএম স্বপন রানার পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।