Search
Close this search box.

বঙ্গবন্ধুর ছবি টাংঙ্গিংয়ে তিস্তা নদী থেকে সেচ্চাসেবকলীগ নেতার অবৈধ বালু উত্তোলন

স্টাফ রির্পোটার- আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্ডার নিয়ে এখান থেকে বালু উত্তোলন করতেছি, আর কারও কাছ থেকে পারমিশন নিতে হবে না। সাংবাদিক, ইউএনও এরা কারা, এদের তো দু’টাকা হলে কেনা যায়। এদের কাছে আবার কিসের পারমিশন? প্রধানমন্ত্রী নিজেই পারমিশন দিয়েছে। যেখানে বালু পাব সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাব।

শুক্রবার দুপুরে রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীর মহিপুর শেখ হাসিনা সড়ক সেতুর নিচে স্থানীয় এক সাংবাদিক অবৈধ বালু উত্তোলনের তথ্য সংগ্রহে গেলে এভাবেই বলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পরিচয়ধারী ছামিউল ইসলাম ছাবের।

সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতিপত্র আছে কী না জানতে চাইলে তিনি ওই সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালিগালাজ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বালু উত্তোলনের অনুমতি ইউএনও এবং ডিসির আইডিতে দিয়েছে। পারমিশন না দিলে আমরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ওয়াজেদ মিয়ার ছবি লাগিয়ে বালু নিয়ে যেতে পারি।

এ সময় ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয়ধারী ছামিউল ইসলাম ছাবের ওই সাংবাদিক হুমকি দিয়ে বলেন, ছবি তোলো। প্রধানমন্ত্রীর কাজে বাধা দাও। তুমি জানো এর পরিণতি কি হবে। তোমার এত বড় সাহস।

স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙিয়ে তিস্তা থেকে অপরিকল্পিতভাবে দিনে রাতে বালু লুটছে দুর্বৃত্তরা। ফলে তিস্তার ভাঙনে বাড়ি-ঘর, আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। স্থায়ী লোকজন বালু উত্তোলনে বাধা দিলে তাদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি, ধামকি। প্রশাসনের লোকজন মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও তিস্তা থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমন ক্ষতির শিকার হচ্ছে স্থানীয় লোকজন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই সেতুর পাশের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রংপুর শহর থেকে কিছু লোক এসে এলাকার ফুয়াদ হোসেনের সহযোগিতায় বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বাধা দিয়েছিলাম। তারা নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনমুতি নিয়েছে। আমাদের তারা সরকারের লোকজন বলেও পরিচয় দেয়। এখানে চলাচলের রাস্তা কেটে বালু পরিবহন করায় আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা অনন্ত ৫০ জন স্থানীয় লোকজন জানান, বালু পরিবহনের জন্য ফসল রক্ষা বাঁধ যা স্থানীয় লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে কয়েক হাজার বিঘা জমি ও প্রায় তিন হাজার ঘর-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

এ বিয়য়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন বলেন, বালু তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুর ওই স্থান থেকে বালু পরিহবনকারী ৫টি ট্রলি ও ট্রলির সঙ্গে থাকা ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ