স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজেদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা এবং স্পেন ও বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন পিকে-শাকিরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, বিবৃতিতে তারা লেখেন, ‘আমরা দুঃখিত যে আমরা আমাদের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করছি। আমাদের সর্বাধিক অগ্রাধিকার, আমাদের সন্তান। তাদের ভালোর জন্য আমরা আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করছি।’
২০১০ বিশ্বকাপ ফুটবলের থিম সং গেয়েছিলেন শাকিরা। তখন থেকেই পিকের সঙ্গে তার পরিচয়। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় প্রেমে। বয়সে ১০ বছরের বড় শাকিরার সঙ্গে ১২ বছর সংসার করেন পিকে। অবশেষে সেই সম্পর্কের ইতি টেনে ফেললেন।
বেশ কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন ছিল, পরকীয়ায় আসক্ত জেরার্ড পিকে। তার পরকীয়াই বিচ্ছেদের মূল কারণ। এমনকি বিচ্ছেদের কারণে শাকিরাকে ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’ কারণে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়।
জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। পিকের প্রেম বার্সেলোনা ও জাতীয় দলের সতীর্থ গ্যাবির মায়ের সঙ্গে। ডেটিংয়েও নাকি গিয়েছেন তারা। কিন্তু ঘটনার কোন সত্যতা মিলেনি। তবে পরকীয়া সম্পর্কে যে জড়িয়েছেন পিকে, গুঞ্জনের সত্যতা পাওয়া গিয়েছিল।
১০ বছরের বড় শাকিরার সঙ্গে ১২ বছর সংসার করেন পিকে
গ্যাবি ১৭ বছর বয়স থেকে জাতীয় দলে খেলছেন। বৃহস্পতিবার পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচেও দারুণ পাসে গোল করিয়েছেন। অন্যদিকে জেরার্ড পিকের বয়স ৩৫ চলছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শাকিরা-পিকের সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। পরকীয়ায় মজে থাকা বার্সেলোনা ডিফেন্ডারকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন শাকিরা। এরপর থেকেই দুজন থাকছেন আলাদা বাড়িতে। বর্তমানে পিকে থাকছেন বার্সেলোনায় তার বাড়ি কালে মুনতানের ব্যাচেলর হাউসে।
এল পিরিওডিকো জানাচ্ছে, বেশ কিছু প্রতিবেশী শেষ এক সপ্তাহে তাকে এই ঘরে ঢুকতে, বেরোতে দেখেছেন। বার্সেলোনা সতীর্থ রিকি পুজ আর অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বার্সেলোনার নৈশজীবনও উপভোগ করছেন তিনি। এ ছাড়া পিকে বর্তমানে তার এক নারী বন্ধুর সঙ্গে জীবন উপভোগ করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারী পিকের বাড়িতে অনেকবার গেছেন এবং তিনি পিকের সঙ্গে বসবাস করছেন। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি বার্সা ডিফেন্ডারের বান্ধবীর ‘তে ফেলিসিতো’ নামে একটি গান প্রকাশ পেয়েছে। তার লিরিকেই লুকিয়ে আছে পিকের প্রতি তার ক্ষোভ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমি তোমায় গড়তে গিয়ে নিজেকে ভেঙেছি, তারা আমাকে সতর্ক করেছিল, তবে আমি মনোযোগ দিইনি তাতে।’ সেই গানের পরের লাইনগুলো হলো- ‘এর পর আমি জানতে পারলাম যে তোমারটা মিথ্যা ছিল। গ্লাস থেকে যা উপচে পড়ে, তাই ছিল সেটা। আমাকে দুঃখিত বলো না, এটা আন্তরিক শোনায়। কিন্তু আমি তোমাকে ভালোভাবেই জানি, আমি জানি তুমি মিথ্যাবাদী।’