Search
Close this search box.

পাকিস্তানের কাছে হারল সাকিবহীন বাংলাদেশ

টানা তিন হারে বিদায় সাকিবরা

মিথুন আশরাফ – ত্রিদেশিয় ক্রিকেট সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারল সাকিবহীন বাংলাদেশ। ‘বাংলা ওয়াশ’ সিরিজে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হারল। ম্যাচটিতে অবশ্য খেলতে পারেননি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচের আগেরদিন নিউজিল্যান্ড পৌছেছেন। লম্বা যাত্রার ধকল থাকাতে প্রথম ম্যাচটিতে খেলেননি সাকিব।

ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে বাংলাদেশ। সাকিবের জায়গায় ম্যাচটিতে নেতৃত্ব দেন সহ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান সুযোগটি ভালোভাবেই কাজে লাগায়। আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৬৭ রানের বড় স্কোরই গড়ে। ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানতো একাই অপরাজিত ৭৮ রান করেন। ৫০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় এই রান করেন রিজওয়ান। সাথে শান মাসুদ ৩১ ও বাবর আজম ২২ রান করেন। তাতেই বড় স্কোর গড়া হয়। বল হাতে তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট শিকার করেন।

জবাব দিতে নেমে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটও হারায়। ইয়াসির আলী রাব্বি অপরাজিত ৪২ রান করেন। ২১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় এই রান করেন ইয়াসির। তার সাথে যদি আরও দুই ব্যাটসম্যান এমন ধুন্ধুমার ব্যাটিং করতে পারতেন, তাহলে হয়ত ম্যাচ জিততেও পারত বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাস ৩৫, আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৫ রান করেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩ উইকেট শিকার করেন। মোহাম্মদ নাওয়াজ ২ উইকেট নেন।

পাওয়ার প্লেতে যেখানে পাকিস্তান কোন উইকেট হারায়নি, সেখানে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, যখনই কোন ব্যাটসম্যান সেট হয়েছেন, তখনই আউট হয়েছেন। প্রথম উইকেটে পাকিস্তানের রিজওয়ান ও বাবর মিলে ৫২, দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ান ও শান মাসুদ মিলে ৪২ রানের জুটি গড়েছেন। শুরুতেই দুটি বড় জুটির দেখা মিলে। সেখানে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটে লিটন ও আফিফ হোসেন মিলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন। আর একটি জুটিও ৩০ রানের উপরে হয়নি। এখানেই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়। শুরুতেই আসলে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচটিতে সাকিব খেলেননি। তাতেও দল কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেললেও এরপরের সব ম্যাচেই খেলবেন সাকিব। মাঝখানে শনিবার বাদ দিলে রবিবারই ম্যাচ রয়েছে। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১২ অক্টোবর আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। তিন দলের সিরিজে পয়েন্ট তালিকায় সেরা দুই দল খেলবে ফাইনাল। ১৪ অক্টোবর ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজের মোট সাতটি ম্যাচের সবগুলোই হবে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে। প্রত্যেক দলই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক সিরিজ এটি। এ সিরিজে নিজেদের ভালোভাবে ঝালাই করে নেয়ার সুযোগ মিলছে। আর সেই সুযোগ প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান নিয়েছে। বাংলাদেশ নিতে পারেনি। পাকিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। এখন সামনের ম্যাচগুলো সাকিবকে নিয়ে ভালো করা গেলেই হলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ