Search
Close this search box.

আবার একসঙ্গে মেসি-এমবাপ্পে

আবার একসঙ্গে মেসি-এমবাপ্পে

স্পোর্টস ডেস্ক – ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স হয়েছে রানার্সআপ। ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্ব শিরোপা জিতেছে। সব ভুলে এখন আবার ক্লাব ফুটবলে নেমে যাওয়ার পালা। আর তাতেই মেসি ও এমবাপ্পে একসঙ্গে খেলবেন। একজন আরেকজনের সতীর্থ হয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) খেলবেন। আগামী সপ্তাহেই হবে সেই খেলা। তাতেই মেসি ও এমবাপ্পে আবার একদলের হয়ে মাঠ মাতাতে পারেন।

পিএসজির পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে ২৯ ডিসেম্বর। আগামী সপ্তাহে বৃহস্পতিবার খেলা আছে। স্ট্রাসবার্গের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে। লিগ ওয়ানের খেলা রয়েছে। এই ম্যাচেই হয়তো মেসি ও এমবাপ্পে একসঙ্গে মাঠে নামতে পারেন।

বিশ্বকাপে অসাধারণ এক ম্যাচ হয়েছে। ইতিহাসের সেরা ফাইনাল হয়েছে। শুরু থেকেই ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যকার শিরোপা লড়াই ছাপিয়ে মেসি ও এমবাপ্পের দৌরথ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুরুতে আর্জেন্টিনা একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। প্রথমার্ধেই দুই গোল দিয়েছে। এরমধ্যে মেসিও একটি গোল করেন। বিশ^কাপে ৬ গোল হয়ে যায় মেসির। দ্বিতীয়ার্ধেও ২৫ মিনিট নিজেদের দখলেই রেখেছে খেলা। মনে হয় আর্জেন্টিনাই বিশ্বকাপ জিততে চলেছে। মেসি শুধু বিশ^কাপ উচিয়ে ধরবেন না, সোনার বল, বুট সব নিজের দখলে করে নেবেন।

খেলার ৭০ মিনিট হতেই যেন সব বদলে যেতে থাকে। ডি মারিয়াকে উঠিয়ে নেয়ার পর আর্জেন্টিনাও একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। এমবাপ্পের ঝলকানিও হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায়। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে ৮০ মিনিটে প্রথম গোল করার পরের মিনিটেই আবার গোল করে বসেন এমবাপ্পে। মুহুর্তেই ২-২ সমতায় ফিরে যায় ফ্রান্স। চোখের পলকে খেলা ঘুরে যায়। এমবাপ্পেও মেসিকে ছাপিয়ে যান। বিশ^কাপে ৭ গোল করে বসেন। সবার তখন ভয় হয়, হঠাৎ করেই সব স্বপ্ন ধুলিস্মাৎ হয়ে যাবে? আর্জেন্টিনা কী শেষপর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারবেনা?

নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলের ব্যবধানেই শেষ হয়। এরপর যখন আবার অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শুরু হয়, ১০৮ মিনিটে গিয়ে মেসি আরেকটি গোল করে বসেন। মেসিরও ৭ গোল হয়ে যায়। তখন উত্তেজনা বেড়ে যায়। রুদ্বশ্বাস ম্যাচ দেখার মিলতে থাকে। মেসি গোল করে এমবাপ্পের দিকে ইশারা করে আনন্দ দেখান। এমবাপ্পে মুখ ঘুরিয়ে নেন। ৩০ মিনিটের প্রথম ১৫ মিনিটও শেষ হয়। আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকে যখন উৎসব যখন চলছে তখন আবার শেষমুহুর্তে গিয়ে গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। এবারও পেনাল্টি পেয়ে গোল করে বসেন এমবাপ্পে। ৮ গোল হয়ে যায়। ২২তম বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি গোল করে ফেলেন এমবাপ্পে। এখন মেসির দিকে ইশারা করে এমবাপ্পে আনন্দ প্রকাশ করেন। শেষমুহুর্তে গোল হওয়ায় খেলা ৩-৩ গোলেই শেষ হয়। তাতে করে এমবাপ্পের সোনার বুট পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়।

মেসি-এমবাপ্পের দ্বৈরথ শেষমুহুর্ত এসে পড়ে। এখন টাইব্রেকারের পালা। ভাগ্য সহায় হলে যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। শেষপর্যন্ত আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ একটি শট ঠেকিয়ে দেন। আরেকটি শটে গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। তাতে করে ৪-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় আর্জেন্টিনা। উৎসবে মাতে আর্জেন্টাইনরা। এখন মেসিরা উৎসব করছেন। এই সপ্তাহ উৎসব করে যাবেন। আগামী সপ্তাহেই সেই উৎসব শেষে ক্লাব ফুটবলের হয়ে খেলতে ফ্রান্স যাবেন মেসি। মেসি যাবেন আর্জেন্টিনা থেকে ফ্রান্সে। আর এমবাপ্পে তো ফ্রান্সেই আছেন। দুইজন নিজ দলের হয়ে একসঙ্গে খেলতে নেমে পড়বেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ