Search
Close this search box.

সাকিব এখন গ্র্যাজুয়েট

সাকিব এখন গ্র্যাজুয়েট

স্পোর্টস রিপোর্টার – বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট দুনিয়ায় সাকিব নিজেই একটি ব্র্যান্ড। যিনি ব্র্যান্ডিং করেন বাংলাদেশকে। সাকিবকে নিয়ে কত আলোচনা সমালোচনা, কত কত প্রশ্ন, কত শত অভিযোগ। সব কিছু ছাপিয়ে সাকিবই দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। ক্রিকেট মাঠে সাকিব আল হাসান হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাঠে পারফর্ম করেন নিয়মিত। ক্রিকেটে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে অবশ্য লেখাপড়াটা চালিয়ে যাচ্ছেন অনিয়মিতভাবে। বেশ দেরিতে হলেও অবশেষে সাকিব এখন গ্র্যাজুয়েট। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ থেকে বিবিএ (স্নাতক) সম্পন্ন করেছেন ৩৫ বছর বয়সী সাকিব।

রবিবার এআইইউবি’র ২১ তম সমাবর্তনে উপস্থিত হন সাকিব। গ্র্যাজুয়েটদের তালিকায় সাকিবের নাম দেখা যায় ‘খন্দকার সাকিব আল হাসান’ হিসেবে। ২০০৯-১০ সেশনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (বিবিএ) ভর্তি হন সাকিব। ১৪ বছর পর গ্র্যাজুয়েট হলেন তিনি। রবিবার এআইইউবি-এর সমাবর্তনে অংশ নিয়ে সাকিব বলেন, অনেক বছর হয়েছে আমার ক্রিকেট খেলার, তখনো আম্মা যখন ফোন করতেন, জিজ্ঞেস করতেন যে পড়াশোনার কী অবস্থা। আজকে আমি খুবই খুশি, খুবই আনন্দিত যে এবং খুবই গর্বিত যে অবশেষে আমার স্বপ্ন একটা পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো বেশি কিছু অর্জন আছে আমার, তবে এটা সব সময় আমার স্বপ্ন ছিল।

সাকিব আল হাসানের সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার ছবি, ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। যেখানে সমার্তনের বিশেষ পোশাক পরা অবস্থায় দেখা যায় তাকে।

সিলেটে চলমান বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডেতে ৯৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন সাকিব। বল হাতে নেন উইকেটও। বাংলাদেশ দল পায় বিশাল এক জয়। আর দেশকে জয় তুলে দেয়ার পরের দিন সাকিবকে দেখা গেল ঢাকায় কালো-সবুজ গাউন গায়ে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখন অফিশিয়ালি গ্রাজুয়েট!

সমাবর্তনে সার্টিফিকেট নিতে মঞ্চে এসে সাকিব বলেন, ক্রিকেটে যখন আমার অভিষেক হয়, ক্যাপটা যখন হাতে পেয়েছিলাম তখন যেমন মনেছিল, এতো বছর পর আজ সেই একই অনুভূমি কাজ করছে। ২০০৯ সালের দিকে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের তিন বছর হয়ে যাওয়ার পরও আম্মা যখন ফোন করতেন, তখন জিজ্ঞেস করতেন; আমার পড়াশোনার কী অবস্থা। আজ আমি খুবই খুশি, খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। অবশেষে আমার এ স্বপ্নটা পূরণ হলো। খেলার মাঠে হয়তো বেশকিছু অর্জন আছে, কিন্তু এ গ্র্যাজুয়েশন আমার সবসময় স্বপ্ন ছিলো।

সাকিব তার কোচ ও টিচারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার সকল কোচ-টিচারকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাদের সাপোর্ট ছাড়া এটা সম্ভব হতে না। এআইইউবিকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু আমাকে না, আমাদের ক্রিকেট দলের অনেকেই এখানে পড়াশোনা করছে। খুব বেশি কিছু বলার নেই। সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে। আশা করি সবার জীবন সামনে এগিয়ে যাবে। শুধু একটা কথাই বলবো, যখন আপনারা স্বপ্ন দেখবেন, স্বপ্নটা বড় দেখবেন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে সততার সাথে কাজ করবেন, আমি নিশ্চিত আপনাদের সবার স্বপ্ন পূরণ হবে। আমরা সবাই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ