মিথুন আশরাফ – প্রথম ওয়ানডে দিয়ে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থাকলেও খেলা হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। বেলা ৩ টা ৪৫ মিনিটে ম্যাচগুলো শুরু হবে। ১২ ও ১৪ মে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।
নিজ দেশে বৈরি আবহাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ইংল্যান্ডের মাটিতে হচ্ছে সিরিজটি। সিরিজটি বিশ^কাপের সুপারলীগের অংশ। আয়ারল্যান্ডের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে আইসিসি ওয়ানডে বিশ^কাপে সরাসরি খেলতে হলে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে হবে স্বাগতিক আইরিশদের। ইতোমধ্যেই সরাসরি বিশ^কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
এই সিরিজের আগে বাংলাদেশের হওয়া সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশ। এবার আইরিশদের আবারও হারানোর পালা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে হবে এবং দেখতে হবে কোন কম্বিনেশন আমাদের জন্য সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, এশিয়া কন্ডিশনে আমরা একজন অতিরিক্ত স্পিনার নিয়ে খেলবো, কিন্তু ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে আমরা স্বাভাবিকভাবে একজন অতিরিক্ত পেসার নিয়ে খেলবো। ম্যাচ জিততে আমরা নিজেদের সেরাটা দেব। বিশ্বকাপের আগে আসন্ন কিছু সিরিজে আমরা নিজেদের খেলার ধরণ নিয়ে কাজ করবো।
এর আগে বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহ বলেছিলেন, আধুনিক ক্রিকেটের সাথে মানিয়ে নিতে আক্রমনাত্মক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চায় তার দল।
সম্প্রতি হাথুরু বলেন, আমরা ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি, এর মানে এই নয় আমরা প্রতিটি বল মাঠের বাইরে মারবো। আক্রমনাত্মক ক্রিকেট মানে আমরা যা কিছু করি, আমরা ইতিবাচক এবং আক্রমনাত্মক উদ্দেশ্যে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।
তিনি আরও বলেন, আক্রমনাত্মক ফিল্ডিং সাজানো, আমাদের কোন ধরনের বল করতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। সুতরাং আমরা নিজেদের প্রমানের জন্য খেলোয়াড়দের এমন স্বাধীনতা দিতে চাই।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টাইগারদের সাথে আয়ারল্যান্ডের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ৯টিতে জয় ও ২টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। দু’টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ^কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনে প্রথমবারের দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলো আয়ারল্যান্ড। ২০১০ সালে বেলফাস্টে শেষবার বাংলাদেশকে হারিয়েছিলো আইরিশরা। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে যতগুলো ম্যাচ খেলেছে কোনটিতেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আয়ারল্যান্ড।
সম্প্রতি ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। ঐ সিরিজে বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙেছে টাইগাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে ৬ উইকেটে সর্বোচ্চ দলীয় ৩৪৯ রান করে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের পক্ষে যা দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড।
ওয়ানডের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে এবং একমাত্র টেস্টও জিতেছিলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কোচ হাথুরু বলেন, ওপেনারদের ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি মাঝের দিকে ব্যাটিং করেন তাহলে বিভিন্ন পরিস্থিতি আসবে, কখনো চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর আসতে হবে। আপনি কিভাবে শুরু করতে চান সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আপনি যদি এভাবে অনুশীলন না করেন, তাহলে উইকেটে গিয়ে থমকে যেতে হবে, যেটা আমরা চাই না। আমরা চাই কোন পরিস্থিতিতে কেমন খেলতে হবে সে বিষয়ে সবার পরিস্কার ধারনা থাকুক।