নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জেতা হলেও কখনও ওয়ানডে ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার সেই আক্ষেপও গুছানো গেল। কিউইদের একরকম উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। এই ম্যাচে হারলেও প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
নেপিয়ারে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপে মাত্র ৯৮ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ।
ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় ছিল নিউজিল্যান্ড। দেশের মাটিতে টানা ১৮ ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলার সুযোগ ছিল কিউইদের সামনে। তবে সেটি এখন শুধুই আক্ষেপ।ম্যাকলন পার্কে আগে ব্যাট করতে নেমে বিপাকে পড়েন কিউই ব্যাটাররা। চতুর্থ ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। ব্যাট করতে নেমে হ্যানরি নিকলস এদিন পেরে উঠতে পারেননি। অনেক লড়াই করেও সাকিবের বলে ক্যাচ দেন ১২ বলে ১ রান করে।টম ল্যাথামকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি শরিফুল ইসলাম, বোল্ড করে ফেরান সাজঘরে। ওপেনার উইল ইয়াং একপাশ আগলে রাখলেও শরিফুলের গতির কাছে খেই হারান। থার্ডম্যান অঞ্চলে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন ৪৩ বলে ২৬ রান করে।দলীয় ৬১ রান টপ-অর্ডার ব্যাটারদের বিদায়ের পর সৌম্য সরকার, শরিফুলরা চেপে ধরেন কিউই ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত ৩১.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।শরিফুল ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। সাকিব ৭ ওভারের মধ্যে ২টি মেডেন ওভার আর ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সৌম্য সরকার এদিন বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। ৬ ওভারে ৩ উইকেট নেন ১৮ রান দিয়ে। মোস্তাফিজুর রহমান ৭.৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও আনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছিল কিউইদের। তবে চোট পেয়ে সৌম্য (৪) মাঠ ছাড়েন দলীয় ১৫ রানের মাথায়। আনামুল আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দলের রান নিয়ে যান ৮৪ -তে। তবে ৩৩ বলে ৩৭ রান করে বিদায় নেন বিজয়।শান্ত ৪২ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন দলের বিজয় নিশ্চিত করে। লিটন অপরাজিত থাকেন ১ রানে।