যুব এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার স্মৃতি এখনও তরতাজা। সেই জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ।
২০২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশি যুবারা। ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছেই হেরে বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
তবে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৮৪ রানে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করতে হলো টাইগার যুবাদের। ব্লুমপন্টেইনে ভারতের ২৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ থামে ১৬৭ রানে।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার আশিকুর রহমান ও জিশান আলম জুটি গড়েন ৩৮ রানের। ১৪ রান করা জিশানকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন রাজ লিম্বানি। আরেক ওপেনার আশিকুরও ১৪ রানে বোল্ড হন পান্ডিয়ার বলে।
আরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমসের দৃঢ়তায় খনিকের জন্য ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে শিহাব ৭৭ বলে ৫৪ আর আরিফুল ৭১ বলে ৪১ করে ফেরার পর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এ দুজনের ব্যাট থেকে আসা ৭৭ রানের জুটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
ভারতের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন সৌমি পান্ডে। ২ উইকেট নেন মাশির খান। ১টি করে উইকেট নেন লিম্বানি, আর্শিন কুলকার্নি ও মলিয়া।
এর আগে টস জিতে বল করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ভারতকে থামিয়েছিল ২৫১ রানে। পেসার মারুফ মৃধা নেন ৫ উইকেট।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান আদর্শ সিং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে অধিনায়ক উদয় শর্মার ব্যাটে।
ভারতকে শুরু থেকেই চাপে রাখে বাংলাদেশি বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারেই মারুফ মৃধা ফিরিয়েছিলেন অরশিন কুলকার্নি (৭) ও মুশের খানকে (৩)। তবে আদর্শ ও উদয়ের তৃতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটিতে বড় স্কোরের ভিত পেয়েছিল ভারত।
স্কোরটা মূলত ৩০০ ছড়ায়নি মারুফেরই দৃঢ়তায়। ৮ ওভারে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মাহফুজুর রহমানের।
আগামী ২২ জানুয়ারি দুপুর ২টায় গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ যুবারা।