ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আইপিএল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও টুর্নামেন্ট কতদিন স্থগিত থাকবে—সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। এতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে শুক্রবার বিকেলে বিসিসিআই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখা হয়েছে। বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাইকিয়া বলেন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ায় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের পরবর্তী সময়সূচি ও ভেন্যু সম্পর্কে পরবর্তীতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে।
বিসিসিআই জানিয়েছে, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ—ফ্র্যাঞ্চাইজি, সম্প্রচারকারী, স্পনসর এবং সমর্থকদের মতামত নিয়েছে। বিসিসিআই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থা রাখলেও জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেবজিত সাইকিয়া বলেন, “ক্রিকেট আমাদের জাতীয় আবেগ হলেও, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার চেয়ে বড় কিছু নয়। বিসিসিআই সবসময় জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলাকালীন প্রথম ইনিংসেই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। ধর্মশালায় ম্যাচটি চলাকালে সেখানকার বিমানবন্দরগুলো বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খেলোয়াড় ও টিম কর্মকর্তারা বাসে জালন্ধর গিয়ে সেখান থেকে ট্রেনে দিল্লি পৌঁছান।
সাম্প্রতিক পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছিল। ভারতের পাল্টা হামলার জবাবে পাকিস্তানও নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ করে। এই পটভূমিতেই আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আসে।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৫৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মশালার ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় গ্রুপপর্বে আরও ১২টি ম্যাচ বাকি রয়েছে, যেগুলো লখনৌ, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই ও জয়পুরে হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা হায়দরাবাদ ও কলকাতায়।