Search
Close this search box.

ডাকঘরের দিন শেষ হয়নি, বরং বাড়ছে- মোস্তাফা জব্বার

স্টাফ রিপোর্টার- ডাকঘরের দিন শেষ হয়নি, বরং আরও বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটালাইজেশনের পথ-নকশা আমরা তৈরি করছি। খুব শিগগির তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এরইমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে।

ঢাকা জিপিও আকস্মিক পরিদর্শন কালে মন্ত্রী গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। এ সময় গ্রাহকরা তাদের সন্তুষ্টির কথা জানান। এরপর মন্ত্রী জিপিওর বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, ট্রেনে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত হবে।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা এরইমধ্যে সেটা পেরেছি। দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে বা তাদের পণ্য আনতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। করোনাকালে কৃষকের ফল, সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরেন মন্ত্রী।

এসময় তিনি গ্রাহক সেবা ও জিপিও’র পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের তদারকি আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রী ঢাকা জিপিওতে স্থাপিত প্রশাসনিক শাখা, বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং ফিলাটেলিক ব্যুরো পরিদর্শন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ