বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও চলে না আমাদের। প্রযুক্তির সঙ্গে আমরা এত বেশি সম্পর্কিত যে, কিছুক্ষণ এর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে আমরা চিন্তায় পড়ে যাই; এই বুঝি কত কিছু মিস করে গেলাম। এর ফলে কোনো নোটিফিকেশন বা অ্যালার্ট ছাড়াই কিছু মানুষ অন্তত ১৫ মিনিটে একবার করে তাদের ফোন চেক করেন। আর এমন পরিস্থিতিতে যদি কেউ এসে বলে স্মার্টফোন ব্যবহারের দিন শেষ হয়ে এলো, তা হলে কেমন হবে?
খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এমনই এক নতুন প্রযুক্তির ভাবনা প্রকাশ করেছেন ইলন মাস্ক। যা এই দুনিয়া থেকে স্মার্টফোন মুছে ফেলবে। নতুন এই প্রযুক্তির নাম নিউরালিঙ্ক চিপ। ইতোমধ্যে এটি সফলভাবে মানুষের মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে।
নিউরালিঙ্ক হলো একরকম রোবোটিক প্রযুক্তি যা আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। যেহেতু এটি একটি চিপ, তাই ভাবনা দিয়েই স্মার্টফোন, ট্যাব এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস উপায়ে ডেটা সরবরাহ হবে। ঠিক যেমন ওয়্যারলেস ইয়ারফোনে গান শোনা হয়। ভবিষ্যতে এরকমই একটি ডিভাইস ইনস্টল করা হবে মস্তিষ্কে, যা আরও বেশি উন্নত হবে এবং সেটি দুনিয়া থেকে স্মার্টফোন মুছে ফেলবে।
ব্রেন চিপ প্রযুক্তির ওপর কাজ শুরু করেছে নিউরালিঙ্ক কোম্পানি। এতদিন সায়েন্স ফিকশন ছবিগুলোতে যা দেখা যেত, তা এবার বাস্তবে করতে চলেছেন তিনি। যদিও ইতোমধ্যে সফল একটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছে নিউরালিঙ্ক। এদিন এক্স প্ল্যাটফর্মে নিজের একটি এআই জেনারেটেড ছবি পোস্ট করছেন তিনি।
ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে, ফোনের মতো মস্তিষ্ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হবে সবকিছু। এই পোস্টে তিনি নিউরালিঙ্ক ইন্টারফেস এবং এক্স ফোনের কথা বলেছেন। অর্থাৎ আগামীদিনে এই সংক্রান্ত কিছু করার পরিকল্পনা, তার থাকলেও থাকতে পারে। এমনিতেও এমন খামখেয়ালি মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় থাকেন ইলন মাস্ক।
তিনি বলেন, ইউজার এবার থেকে ভাবনা দিয়েই স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আরও একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ফোনের দরকার পড়বে না। আপনি শুধু নিউরালিঙ্ক দেখতে পাবেন।
এদিকে ইলন মাস্কের এই প্রস্তাবে কেউ খুশি আবার কেউ হাসি-ঠাট্টা করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন মস্তিষ্কে অপারেশন করার চেয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করাই ভালো।