নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী কোন কর্তৃত্ববলে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের এমপি পদে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও এমপি পদে হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মো. বুরহান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. বুরহান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মোঃ রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম জি সারোয়ার পায়েল, ইশিতা পারভীন ও আশিকুল হক।
উল্লেখ্য টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ২০১৭ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের পর ওই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে সোহেল হাজারী এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হন তিনি।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী জানান, সোহেল হাজারীর হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় গড়মিল আছে এমন কথা উল্লেখ করে গত বছরের ২৫ জুলাই স্পিকার বরাবর মোখলেছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বিতর্কের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। সেটি নিষ্পত্তি না করায় পরে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। আবেদনে রিটটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ওই রিট খারিজ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এবার তার সংসদ সদস্য বাতিল চেয়ে আরও একটি রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ এ রুল জারি করেন আদালত। আইনজীবী মো. বুরহান খান বলেন, এবার পিটিশনার সরাসরি কোয়ারেন্ট নিয়েছেন। আমরা যেটা বলি, তার এমপির যে পোস্ট, সেটা কোন অথরিটির বলে (কর্তৃত্ববলে) রয়েছে। এটাকেই চ্যালেঞ্জ করে কোয়ারেন্ট করা হয়। কোর্ট এ নিয়ে রুল জারি করেছে। আদালতে রিট আবেদনটি করেছিলেন আমার চেম্বারের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন। আর সিনিয়র কাউন্সিলর হিসাবে আইনজীবী ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।