Search
Close this search box.

‘শিল্পী হিসেবে তাঁর জবাব ছিল না’

সব্যসচী দাস ॥ কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। যাকে সবাই কেকে নামেই জানেন। হয়তো গত দিনই প্রথম বহুজন তাঁর পুরো নামটা জেনেছেন। হিন্দি সিনেমার গানে কেকে একটি মুগ্ধতার নাম। তাঁর গায়কী যে কোন শ্রোতাকে মোহিত করতো। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সুরের এই বরপুত্র গত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি অনুষ্ঠানে একের পর ঝঙ্কার গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে, নিজে চিরশান্ত হয়ে গেলেন। শিল্পী কেকে এর মৃত্যুতে গোটা উপমহাদেশের গান প্রিয় মানুষের মনে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয় শহর কলকাতা। বাংলা ভাষাভাষীদের পছন্দ করতেন বলেই প্রায়ই কলকাতায় আসতেন। এই প্রিয় শহরেই যে তাঁর অকাল প্রয়াণ ঘটবে তা কে জানতো! জীবনে অনেক সংগ্রাম করে হিন্দি সিনেমায় নিজের নাম প্রতিষ্ঠা  করেছেন। বাবা, ঠাকুর দাদা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংঙ্গীতের মানুষ। তাকেও বলা হয়েছিল গুরু ধরে সংঙ্গীত রপ্ত করতে। কিন্ত কেকে তা পারেননি। গান গাওয়ার রেফারেন্স হিসেবে কুমার শানুকে সামনে এনে নিজের প্রতিভাকে পরখ করে গাইতে গাইতে হলেন শ্রোতাদের প্রিয় কেকে। ভারতীয় বিভিন্ন ভাষায় তিনি গান করেছেন। সিনেমায় গাওয়ার আগে প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল গেয়েছেন। শোনা যায় সিনেমায় তাঁর গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এ আর রহমান। তবে ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালীর হাম দিল যে চুকে সনম সিনেমার তরপ তরপ কে ইস দিল সে…গান তাকে সাফল্যের সিড়িতে তুলে ছিল। এর পর কেবল উপরেই উঠেছেন সবার প্রিয় কেকে। তার অকাল প্রয়াণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন। ওস্তাদ রশিদ খান বলেছেন, তাঁর গান ভালো লাগত। আমার ছেলেরও তাঁর গান ভালো লাগত। আমার সঙ্গে দেখা হয়নি কোন দিন; তবে তাঁকে চিনতাম। আমাকেও হয়তো চিনতেন। শিল্পী হিসেবে তাঁর জবাব ছিল না। কেকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট এ্যাটাক ধারণা করা হচ্ছে। তবে মেডিকেল তথ্যের পর জানা যাবে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ।  কারণ যাই হোক তার মতো স্বাস্থ্য সচেতন একজন মানুষ এভাবে মারা গেল! অবিশ্বাস্য! তাঁর ভক্তরা এই অমোঘ সত্য হয়তো মানবেন না। তিনি তো আছেন তাঁর রেখে যাওয়া প্রতিটি গানের ছন্দে হয়তো এই ভেবে..

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ