রাকিব হাসান \ মো. রাসেল ওরফে কাটা রাসেল ১৩টি মামলার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে যান জেলে। জেলে থাকা অবস্থায় রাসেলকে তালাক দিয়ে রাসেলের বন্ধু রাকিব হোসেনকে (২৫) বিয়ে করেন তার স্ত্রী। প্রতিশোধ নিতে জামিনে বের হয়ে বন্ধুকে খুন করেন কাটা রাসেল।
এ ঘটনায় রাকিব হোসেনের বড় ভাই মো. শাকিল হোসেন (২৭) মো. রাসেলকে প্রধান আসামি করে পাকশি রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, প্রায় সাত বছর আগে নিজেদের পছন্দে নাটোর জেলার চক বৌদ্ধনাথপুর এলাকার লাবণ্য সিদ্দিকা সাথীকে (২৬) বিয়ে করেন মো. রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল। তাদের সংসারে রেদোয়ান আহমেদ রোজ (৫) নামের একটি সন্তানও রয়েছে।
সোমবার রাতে সিআইডির এলআইসি শাখার একটি দল আসামি রাসেল হোসেনকে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
মুক্তা ধর জানান, চলতি বছরের ২৩ মার্চ দস্যুতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় নাটোর সদর থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন রাসেল। হাজতে থাকা অবস্থায় সাথী তার স্বামী কাটা রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে রাকিবকে বিয়ে করে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। রাসেল বিয়ের সংবাদ পেয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন। মে মাসের ৩১ তারিখে কাটা রাসেল জামিনে মুক্তি পান। এরপর কৌশলে রাকিবকে নাটোর রেলওয়ে প্লাটফর্মের ৩ নম্বর ওভার ব্রিজের ওপর ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন কাটা রাসেল। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাকিবকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মুক্তা ধর আরও জানান, মো. রাসেল ওরফে কাটা রাসেলের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, চুরি, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য ধারার আইনে মোট ১৪টি মামলা রয়েছে।