স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মা সেতুতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে মাইক্রো। ছিটকে পড়ে যাত্রী নিহত হয়েছে। পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাস উল্টে গিয়ে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
শনিবার জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে হাইওয়ে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল হক। তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরবের চেগাইয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক।
মাইক্রোবাসের আহত এক যাত্রী জানান, তারা ভৈরব থেকে পদ্মা সেতু দেখার জন্য সাতটি মাইক্রোবাস নিয়ে ৬০/৬৫ জন লোক ঘুরতে আসেন। পদ্মা সেতু হয়ে তারা শিবচর গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নামাজ পড়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা হয়ে ভৈরবের উদ্দেশ্য যাওয়ার জন্য রওনা দেন। গাড়িটি বহরের সবার পেছনে ছিল। যাত্রীবাহী বাস অন্তরা পরিবহন কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
হঠাৎ মাইক্রোবাসের গতি কমে গেলে পেছনে থাকা অন্তরা পরিবহনের বাসটি স্বজোরে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি সড়কে উল্টে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসচালক ও ৭ যাত্রীর মধ্যে গাড়ির গ্লাস ভেঙে আব্দুল হক বাইরে ছিটকে সড়কে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় আহত হন চার মাইক্রোযাত্রী। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ঢাকায় ও ৩ জনকে শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ধাক্কা দেয়া বাসটির সামনের অংশ ভেঙে যায়। গ্লাস ভেঙে বাসের ছয় যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মাক্রোবাসটি উদ্ধার করে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়ে আসে। এর আগে চলাচলের প্রথম দিন গত ২৬ জুন রাতে সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝখানে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হন। নিহতরা হলেন- আলমগীর (২৫) ও ফজলু (২৪)।