Search
Close this search box.

এ লজ্জা কোথায় রাখি

এত মোটরসাইকেল কেন?
রাজন ভট্টাচার্য

 

এ লজ্জা কোথায় রাখি? পরিচিতজনরা টেলিফোন করে বলছেন, দেশে কেন এই অবস্থা? কেন বারবার শিক্ষকরা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। প্রকাশ্যে জুতোর মালা পড়ানো হচ্ছে শিক্ষকের গলায়! ছাত্রের আক্রমনের শিকার হয়ে শিক্ষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে আমরা উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কথিত ধর্ম অবমাননার ধোয়া তুলে শিক্ষকের বাড়ি-ঘরে হামলা করছে উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি গোষ্ঠী। মিথ্য অভিযোগে শিক্ষকদের জেলে দেয়া হচ্ছে। একেবারেই পরিকল্পিতভাবে মানুষ গড়ার কারিগরদের ওপর প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে সমাজের একটি অংশ। এরা কারা? তাছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পবিত্র সম্পর্ক আজ এরকম ভরাবহ পরিণতির দিকে কেন গেল?

নিজের মনে জমানো কষ্ট বা সামাজিক বাস্তবতায় উদ্বিগ্ন হয়ে যারা এরকম প্রশ্ন করেছেন? তাদের কি উত্তর দেব। আমি এটুকু বলতে পারিনি আপনারা যা প্রশ্ন করছেন, আমার প্রশ্নগুলো ঠিক এরকমই। নিজেই আত্মদহনে ভুগছি।

আসলে এসব প্রশ্নের জবাব কি? এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। সমাজ এত ভয়ঙ্কর অবস্থার দিকে যাচ্ছে? অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না। এই অবস্থা তো চলতে দেয়া যায় না। তাহলে তো সমাজ সুরক্ষার সবকটি স্তর আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাবে। সামনে আরো ভয়ঙ্কর কিছু আসবে।
ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় ‘আমিও স্বপন কুমার বিশ্বাস’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ চলছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে একজন কলেজ শিক্ষককে ধর্ম অবমাননার ডাহা মিথ্যা অভিযোগে জুতোর মালা পড়ানো হলো অথচ পুলিশ ছিল নির্বিকার। বিষয়টি ভাবতেই খুব কষ্ট লাগে।
ধর্ম অবমাননাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যেসব ঘটনা ঘটে এরমধ্যে বেশিরভাগই মিথ্যা, কাল্পনিক। এসব ঘটনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পর পরই পুলিশকেই আগেভাগে যেতে হয়। তাই এসব ইস্যুর বেশিরভাগই যে মিথ্যা তা পুলিশের চেয়ে আর কারো ভালো জানার কথা নয়। এই বিবেচনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দুই শতাধিক পুলিশের উপস্থিতিতে কিভাবে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে? তাই বড় প্রশ্ন।

তাহলে প্রশাসন যন্ত্রই কী মনে প্রাণে চেয়েছিল অধ্যক্ষের প্রকাশ্যে বিচার হোক! যদি তাই হয় তাহলে বিষয়টি পরিস্কার তা হলো প্রশাসন নগ্নভাবে মৌলবাদীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এখন এ প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আশাকরি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে করা তদন্তের বিষয়টি পরিস্কার হবে।

একজন শিক্ষকের গলার প্রকাশ্যে জুতোর মালা পড়ানো হলো। তার মানে হলো এই অবমাননা শুধু অধ্যক্ষের একার নয়; গোটা শিক্ষক সহ সমাজের সকল শান্তিপ্রিয়, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিবুদ্ধিচর্চার মানুষদেরও। এই অপরাধের যেমন সমস্বরে প্রতিবাদ হওয়া জরুরি তেমনি যারা কথিত ধর্মের অবমাননার ধোয়া তুলে এ ধরণের বর্বরোচিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে সাহস না করে।

কিন্তু সাহস করার তো যথেষ্ট কারণ আছে? মুন্সীগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের গনিত বিষয়ের সহকারি শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের কথা এত দ্রুত ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে বিজ্ঞানের এই শিক্ষককে জেল খাটতে পর্যন্ত হয়েছে। বাড়িঘরে হামলা করেছে স্থানীয় মৌলবাদীরা। হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এরপর সরকারি সবকটি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে তিনি নির্দোষ। কিন্তু যারা এই অপরাধ ঘটালো তাদের কি বিচার হয়েছে? কেউ কি বলতে পারবে অপরাধীরা কি শাস্তি পেল। কিন্তু এ ঘটনায় হৃদয় মন্ডলের হৃদপিন্ডে যে ক্ষত তৈরী করেছে, তা কি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুছে দেয়া যাবে।

স্বপন কুমার বিশ^াসের ঘটনার পর পরই সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্রের স্ট্যাম্পের আঘাতে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের মৃত্যুর খবর আসে। মনটা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। এটা কেমন কথা। বলুন তো এটা ভাবা যায়?

আজ থেকে ৩০ বছর আগেও তো সমাজে এরকম ছিল না। এরকম ঘটবে কেউ চিন্তাও করেনি। একজন শিক্ষক ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে আবার ফেরা পর্যন্ত তাকে বাইরে আদাব, সালাম নিতেই হিমশিম খেতে হলো। অনেকে পাঁ ছুয়ে প্রনাম করতো, শিক্ষকের আশির্বাদ নিতো। আজ শিক্ষককেই ছাত্রের হাতে জীবন দিতে হচ্ছে। আমরা কেমন সমাজ তৈরী করেছি? এ কোন ভয়ঙ্কর প্রজন্ম? যাদের হাতে পিতৃতুল্য শিক্ষকও নিরাপদ নয়।

গত ২৭ জুন সকালে সভারারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে মারা যান সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে উৎপল কুমার সরকার (৩৫)। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

পুলিশ বলছে, নিহত উৎপল কুমার সরকার প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি থাকায় নিয়ম কানুন মানাতে শিক্ষার্থীদের শাসন করতেন। তিনি ওই শিক্ষার্থীকেও শাসন করায় এ ঘটনা ঘটায়। জানিনা হত্যাকারীর সুষ্ঠু বিচার হবে কিনা? তবে হত্যকারী গ্রেফতার হয়েছে।

নিশ্চয় অনেকের মনে আছে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের কথা। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল ভক্তকে প্রকাশ্যে অপমান-লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে। শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তারই কতিপয় শিক্ষার্থী। তাকেও কারাগারে যেতে হয়েছিল; ঘটনাটি দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল; আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও তা উঠে এসেছিল।

যে বলবানরা শ্যামল কান্তিকে কান ধরে ওঠবস করে চরম অপমান করেছিলেন, তাদের সেই জঘন্য কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের অনেক মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই প্রতিবাদী কেউ কেউ প্রকাশ্যে রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়েছিলেন।

সম্প্রতি ঢাকার রাস্তায় কলেজ শিক্ষক লতা সমদ্দার টিপ পরার কারণে লাঞ্ছিত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্যের হাতে। ভুলে যাওয়ার কথা নয় অধ্যাপক রুমা সরকারের কথাও, যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল।

নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব পরে স্কুলে আসার অপরাধে ১৮ ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটানোর অভিযোগ ওঠে শিক্ষিকা আমোদিনি পালের বিরুদ্ধে। গত ছয় এপ্রিল উপজেলার দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শেষ পর্যন্ত এ ঘটনায় হামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। অথচ আমোদিনি পালের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক ছাত্রকে যখন সবাই মারছিল তখন শিক্ষক হিসেবে তিনি তাঁর কক্ষে ছাত্রটিকে আশ্রয় দিয়ে প্রাণে বাঁচাতে সহায়তা করেছেন।
শিক্ষকের অপরাধ হলো ছাত্রকে বাঁচাতে পুলিশকে খবর দিয়েছেন। আর সেই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো ফেসবুকে স্ট্যাটাস। ‘অধ্যক্ষ ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিক্ষুদ্ধরা অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। ওই সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরায়। শেষ পর্যন্ত ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে সুবিধাবাদি গোষ্টী।

শিক্ষক লাঞ্ছনার সর্বশেষ বলি হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা।রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অধ্যক্ষকে ডেকে নিয়ে গায়ে হাত তুলেছেন । ১৩ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশের পর দেশব্যাপী আবারো তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় শিক্ষক সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করা হয়েছে। যদিও ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সংসদ সদস্য। বৃহস্পতিবার তিনি নির্যাতিত শিক্ষককের পাশে বসে আয়োজিত সংসবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালান। চাপের মুখে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাও এখন ভিন্ন কথা বলছেন একথা কারো বুঝতে বাকি নেই।

এর আগে ২০১৬ সালে বাগেরহাটের চিতলমারীতে দর্ম অবমাননার অভিযোগে দুই শিক্ষককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল ভ্রাম্যমান আদালত। মূলত স্কুলের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে বাগেরহাটের সরকারি পিসি কলেজে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে শিক্ষক মনোজ মন্ডলকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এরকম ঘটনা এখন গোটা দেশে বেশ হচ্ছে।

এসব ঘটনার পেছনে সাম্প্রদায়িক মতলববাজ গোষ্ঠী জড়িত এতে কোন সন্দেহ নেই। অসাস্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ^াসী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ইতোমধ্যে তা পরিস্কার হয়েছে। যদিও বড় বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ছোটবেলায় আমরা প্রাইমারি বা হাইস্কুলে কে শিক্ষকদের হাতের মার খাইনি? কমবেশি সবাই খেয়েছি। তখন শিক্ষকরা মার দিলেও অভিভাবকরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিচার শালিস বসাতেন না। শৃঙ্খলার জন্যই শাসন এই উপলব্দিটুকু আমাদের থেকে দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলেছে।

একবার স্কুল থেকে আসার পথে শহরের সিনেমা হলের সামনে পোস্টার দেখছিলাম। সন্ধ্যায় বাবার কাছে নালিশ আসার পর মার খেতে হয়েছে। এরপর থেকে আর কখনও হলের সামনে দাঁড়ানোর সাহস করিনি। এখন হলে যিনি অভিযোগ করেছিলেন তাকে পরদিন পেটানো হতো!
এক সময় রাস্তায় যদি কেউ দুষ্টুমি বা খারাপ কাজ করতো তখন বড়রা তাদের শাসন করত। এখন তা সম্ভব হয়। সময় বদলে গেছে। এটুকু বলতে পারি বদলে যাওয়া সময়টা আমাদের জন্য ভালো আসেনি। যা এসেছে এর প্রতিটি মুহূর্ত সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্চ। এর পেছনের সামাজিক, রাজনৈতিক, বিশ্বায়ন সহ নানা কারণ রয়েছে।

কথা হলো একটি বিজ্ঞান মনষ্ক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াই স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও চলছে। একটি চক্র বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। নিয়ে যেতে চায় পেছনের দিকে। অথচ তারা ভাবেনা বিশে^ যেসব দেশ এগিয়ে গেছে সেখানে ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নেই। সাম্প্রদায়িকতা নেই।

এই জায়গা থেকে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষকে আরো বেশি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এতে যুক্ত হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকেও। তবেই আমাদের প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। আর কোন শিক্ষককে ছাত্রের হাতে বা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাতে লাঞ্ছনা, হামলা এমনকি হত্যার শিকার হতে হবে না। সময় বলছে, এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলাম লেখক
rajan0192@gmail.com

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ