রাজন ভট্টাচার্য
# নিবন্ধিত যানের চার ভাগের তিনভাগই বাইক
# পরিকল্পনা ছাড়াই নিবন্ধন, বাড়ছে না গণপরিবহন
# ৪৯ বছরে বেড়েছে ৪৮ গুন
# প্রতি ১০ হাজার বাইকের বিপরীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে২৮ জনের
# নিহতদের৪০ ভাগের বয়স ২৪-৩০
# ভিয়েতনামে মোটরসাইকেল বেশি হলেও দুর্ঘটনা কম
# ৬৬ শতাংশ নিয়মিত হেলমেট ব্যবহার করেন না
# সিসি না বাড়ানোর পরামর্শ
# নিয়ন্ত্রণের কারণে কমেছে মৃত্যু
# প্রয়োজন আইন মানা, দক্ষ প্রশিক্ষণ ও পৃথক লেন
রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিআরটিএ) হিসাব বলছে দেশে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা সাড়ে ৫৩ লাখের বেশি। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই সাড়ে ৩৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাত রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের মধ্যে প্রায় চার ভাগের এক ভাগই হলো বাইক! যার একটা বড় অংশ গণপরিবহন হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন করছে। কেন এত বাইকের নিবন্ধন? এ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। অথচ গণপরিবহন বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। বুয়েটের গবেষণা বলছে, দেশ স্বাধীনের পর ৪৯ বছরে দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে ৪৮ গুণ।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই চাকার এই যান কোন অবস্থাতেই গণপরিবহন বা গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। এটি স্বল্প দূরত্বে চলাচলের জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয়। আর অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণেই চোখের সামনে বেড়েছে বাইক। যা এখন সড়ক দুর্ঘটনার জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় একটি দেশের দক্ষ জনশক্তি চিহ্নিত ৪০ বছয় বয়সের মানুষই বেশি মারা যাচ্ছে।
বলা হচ্ছে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে ২৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। মৃত্যুর এই হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব পক্ষ থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল ও বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। ঈদুল আজহাতেও এই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্প্রতি বেড়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশসহ অন্য অনেক দেশের তুলনায় দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক কম।
জাপানের বহুজাতিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহার পরিচালিত এক বাজার জরিপ তথ্য বলছে, দেশে এখন প্রতি ৫৪ জনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন একজন। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল প্রতি ১৬১ জনে মাত্র একজন। অথচ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর দিক থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ হার প্রতি ২০ জনে একজন। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় প্রতি চারজনে একজন। অর্থাৎ ভারতে ৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ২৫ শতাংশ লোক মোটরসাইকেল ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) পরিচালিত গবেষণার তথ্যমতে, ভিয়েতনামে প্রতি ১ হাজার মানুষের বিপরীতে মোটরসাইকেল আছে ৩৫৮টি। এর বিপরীতে বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য মোটরসাইকেল আছে মাত্র ৭টি। তবে দেশে সড়ক আইন না মানা, যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব ও লাইসেন্স বিহীন চালকের কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেশি।
অন্যান্য অনেক দেশ বাইক বন্ধ করে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিছু দেশে বাইকের ব্যবহার বেশি হলেও সেখানে আইন কঠোর। চলাকদের সেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাই দুর্ঘটনাও কম হচ্ছে।
বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় বছরে ৩৮ লাখ, ভিয়েতনামে ২৮ লাখ, পাকিস্তানে ২০ লাখ ও থাইল্যান্ডে ১৫ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। এর বিপরীতে বাংলাদেশে এ সংখ্যা এখনও ৬ লাখের কম। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্থানীয় উৎপাদনও। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫ বছরে এখানে ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় তিন গুণ (২ দশমিক ৯৮ গুণ)।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চলতি বছরের জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে এখন নিবন্ধিত মোটরসাইকেল আছে ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৭টি। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় আছে ৯ লাখ ৬১ হাজার ২২১টি।
সম্প্রতি দেশে ভাড়ায় চালিত অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল বৃদ্ধির কারণে এর ক্রয়-বিক্রয় এবং নিবন্ধনের হারও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নিবন্ধিত প্রায় ৩০ লাখ মোটরসাইকেলের মধ্যে ২৫ শতাংশ চলাচল করছে ঢাকায়। চলতি বছরের মে পর্যন্ত ঢাকায় মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে ৫২ হাজার ১২৪টি এবং সারা দেশে ২ লাখ ৮৮১টি।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, বিআরটিএর নিবন্ধন ছাড়াও দেশে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন অনেক মানুষ। এ সংখ্যা কম করে হলেও লাখ পাঁচেক হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক হাদিউজ্জামান মনে করেন, উন্নত গণপরিবহন ছাড়া মোটরসাইকেলের ব্যবহার কমানো কঠিন। তবে মোটরসাইকেলের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদালয়ের (বুয়েট) এক গবেষণা বলছে, প্রতিবছর দেশে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন ২৮ দশমিক ৪ জন। তাঁদের প্রায় ৪০ শতাংশেরই বয়স ২৪ থেকে ৩০ বছর। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই হার সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ। যদিও মাথাপিছু মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান সবার পেছনে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত গবেষণাটি করেছে বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই)। গত বছর শেষ হওয়া এই গবেষণায় মোটরসাইকেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, এমন ১৬টি দেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন ভিয়েতনামের মানুষ। সেখানে প্রতি ১ হাজার মানুষের বিপরীতে মোটরসাইকেল আছে ৩৫৮টি। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য মোটরসাইকেল আছে মাত্র ৭টি।
কিন্তু ভিয়েতনামে দুর্ঘটনার হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম, ৪ দশমিক ১ (প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে)। মৃত্যুহারে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে কম্বোডিয়া। তবে দেশটিতে মৃত্যুহার বাংলাদেশের অর্ধেকের কম (১১ দশমিক ৯)। ভারতে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে প্রাণ হারান ৯ জন। তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় এই বাহনের দুর্ঘটনা সবচেয়ে কম ভুটানে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে মারা যান ২ জন।
গবেষকরা বলছেন, মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। অনেকেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেন না, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করার প্রবণতাও বেশি। সড়কে কোন ধরনের যানবাহন কত সংখ্যায় চলবে, তার নিয়মনীতি নেই। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা হয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
বুয়েট এআরআইয়ের পরিচালক ও গবেষণাটির নেতৃত্বদানকারী অধ্যাপক হাদিউজ্জামান মনে করেন, উন্নত গণপরিবহন ছাড়া মোটরসাইকেলের ব্যবহার কমানো কঠিন। তবে মোটরসাইকেলের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২০২১ সালে মোট ২ হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান ২ হাজার ২১৪ জন, যা সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৩৫ শতাংশ। আর ২০২১ সালে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার প্রায় ৩৯ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এর আগের বছরের চেয়ে ২০২১ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ ও মৃত্যু ৫১ শতাংশ বেড়েছে।
বুয়েটের গবেষণা বলছে, মোটরসাইকেলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৩০ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটে মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে। এই বাহনের দুর্ঘটনায় যতজন মারা যান, তাঁদের অর্ধেকই মারা যান মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে। এই গবেষণার অংশ হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই জানিয়েছেন, গত এক বছরে তাঁরা অন্তত একবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
একসময় দেশের বেশির ভাগ মোটরসাইকেল ছিল ৮০ থেকে ১০০ সিসির। এখন ১৬৫ সিসির মোটরসাইকেল আছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল তৈরি করতে দেশে কারখানা হচ্ছে।
তবে সিসি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন, অতিরিক্ত সিসির মোটরসাইকেলে খুব অল্প সময়ে উচ্চ গতি তোলা যায়। অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সঠিকভাবে হেলমেট পরলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে। বুয়েটের গবেষণার তথ্য বলছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৮৮ শতাংশই দুর্ঘটনায় সময় হেলমেট পরা ছিলেন না। এ ছাড়া মোটরসাইকেলচালকদের ৬৬ শতাংশ নিয়মিত হেলমেট ব্যবহার করেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, তুলনামূলক হেলমেট ব্যবহারের হার ঢাকায় বেশি। এই মহানগরের চালকদের ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ ও যাত্রীদের ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ হেলমেট পরেন। বরিশালে এ হার যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১ শতাংশ।
তবে হেলমেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। বাজারে চার ধরনের হেলমেট পাওয়া যায়: ফুল ফেস, হাফ-ওপেন ফেস, ওপেন ফেস ও অন্যান্য। তুলনামূলকভাবে বেশি নিরাপদ ফুল ফেস হেলমেট, কিন্তু এ ধরনের হেলমেট পরেন মাত্র ১১ শতাংশ চালক।
বুয়েটের গবেষকদের মতে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঝুঁকি অন্য বাহনের চেয়ে ২৬ গুণ বেশি। দেশে অর্ধেকের বেশি দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এরপর ৩৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অসতর্কভাবে মোটরসাইকেল চালনায়।
অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সড়ক মোটরসাইকেলের জন্য উপযোগী নয়। উন্নত দেশে মোটরসাইকেল ও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন আছে। ফলে দুর্ঘটনা কম হয়। কিন্তু দেশে সব ধরনের যানবাহন এক রাস্তায় চলে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীরাও সচেতন নন।
কীভাবে দুর্ঘটনা কমানো যায়এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের পাশাপাশি গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। চালকদের সচেতন হতে হবে। সবাইকে সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে।
জানতে চাইলে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই। এবারের ঈদে বিষয়টি স্পষ্ট হলো। নিয়ন্ত্রণের কারণেই কিন্তু সড়কে মৃত্যু কম হয়েছে। অথচ রোজার ঈদে ইচ্ছেমত চলাচল করায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেলে। তাই বিষয়টি মাথায় রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
গত ১২ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে অতি প্রয়োজনে। অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করেও মোটরসাইকেল চলেছে। তবে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের কারণেই দুর্ঘটনা কমেছে বলে মনে করেন তিনি।