মুচলেকা দিয়েছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম সেন্টারে
স্টাফ রিপোর্টার \ বার বার আলোচনায় আসা হিরো আলম তার অফিসিয়াল ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন আপত্তিকর, মানহানিকর, বিধি বহির্ভূত ভিডিও কন্টেট শেয়ার করায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিংয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় বুধবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরু আলমকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, অর্থ রোজগারের জন্যই সে বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যু কেন্দ্রিক কন্টেন্ট তৈরি করে থাকে। গুণগত মানের চেয়ে সে বেশি ভিউ এবং বেশি উপার্জনের লক্ষ্যে কন্টেন্ট নির্মাণ করে। এছাড়াও তার কন্টেন্টে বাংলাদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক বিকৃত করে অশোভন ভাবে উপস্থাপন করার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় বিষয়টি সম্পর্কে তার জানার ঘাটতি থাকার কারণে এমনটি হয়েছে।
দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও মডেল অভিনেত্রী নিয়ে অশ্লীল গান তৈরীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এছাড়াও বিভিন্ন গুণী শিল্পী ও কলা-কুশলীদের গান বিকৃত সুরে গাওয়া বা বাঙ্গালীর সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা, জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয় এমন কন্টেন্ট তৈরি ও প্রকাশ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সে তার ভুল স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কার্যকলাপ বিরত থাকার মুচলেকা প্রদান করে।
মুচলেকায় উল্লেখিত করা হয়: ১) অভিনয়ের ক্ষেত্রে যেকোন বিশেষ বাহিনীর পোশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে উপস্থাপন না করে তা যথাযথ নিয়ম মেনে সে সঠিকভাবে উপস্থাপন করবে। ২) বাঙ্গালি সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয় এমন কোন কন্টেন্ট সে তৈরি ও প্রচার করবে না। ৩) ব্যাঙ্গাত্মক, মানহানিকর, হেয় প্রতিপন্নমূলক কোন কন্টেন্ট সে তৈরি ও প্রচার করবে না। ৪) এমন কোন কন্টেন্ট সে প্রচার করবে না যাতে জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়।
মুচলেকা দিয়ে সে ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসে।