ফারুক মোহাম্মদ ওমর
মানুষ কখন টিপিং পয়েন্টে চলে যায় এটা সময় বলে দেয়। আমাদের জীবন বৃত্তান্তের ইতিহাস অন্তত তাই বলে। ব্যক্তি থেকে সমাজ সমাজ থেকে রাষ্ট্র যখন মিথ্যার মিথে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখে আমি তখন কবিতার আশ্রয়ে যাই। কবিতা আমাকে কখনো নিরাশ করেনি। দুহাত ভরে দিয়েছে বারবার জনবাদী অভ্যুত্থান। আজ এই উত্তাল সময়ে কবিতার কাছে হেরে যাওয়ার কোনো শব্দ নেই। কবিতা নতুন করে বাঁচতে শেখায়। কবিতা কথনো অধিকৃত ভূমি বরদাশত করে না। লড়ে যেতে হয় ক্ষেত্র বিনির্মাণে। আর এভাবেই একদিন পুরো পৃথিবী কবিতার ছায়াতলে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বলছি কবিতার কথা। লিখছি কথাশিল্পী শাদমান শাহিদের ‘বৃত্তান্ত’ নিয়ে। সাহিত্যের এই ছোট কাগজ এবার প্রচ্ছদ হয়েছে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের কবিতা’ শিরোনামে। নামই বলে দেয় এখানে কি রসদ লুকানো আছে। আমি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পড়লাম। প্রতিটি কবিতা আমাকে নিয়ে রাজপথে দাঁড় করিয়ে দেয়। অসম্ভব ভালোলাগা ছুঁয়ে যায় দেহ মনে। আন্তরিক ধন্যবাদ কবি শাদমান শাহিদকে। এমন লোভনীয় কাজ করার জন্য। তার মতে-এই রুদ্ধশ্বাস ফ্যাসিষ্ট সময়ে নক্ষত্রদের পাশে থেকে যারা কলমের ভূমিকা পালন করেছেন, যাদের বিচিত্র চিন্তা, গান, কবিতা গণঅভ্যুত্থানের শরীরে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে’ প্রচারিত গান-কবিতার মতোই ইনজেকশনের কাজ করেছে। সত্যি বাস্তবেও তাই মনে হয়েছে আমার কাছে যা ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকুক আগামী দিনের জন্য।
এটি প্রকাশিত হয় ১৯ আগস্ট ২০২৪। মন্ত্রমুগ্ধ এ সংখ্যাটিতে লিখেছেন এদেশের ১১৮ জন কবি । তারা হলেন- ফরহাদ মজহার, মাহবুব হাসান, আবদুল হাই শিকদার, নাসরীন জাহান, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, ফারুক হোসেন, রহমান হেনরী, শাহীন রেজা, জগলুল হায়দার, মাসুদ খান, মুহাম্মদ নিযামুদ্দীন, কাজী জহিরুল ইসলাম, সাখাওয়াত টিপু, কামরুজ্জামান কামু, কামরুজ্জামান, জ. ই. মামুন, ফরিদ ভূঁইয়া, জাহানারা বুলা, শান্তা মারিয়া, সজল আশফাক, মহিবুর রহিম, মুজতাহিদ ফারুকী, পারভেজ চৌধুরী, সাজ্জাদ বিপ্লব, মিজানুর রহমান শামীম, শাকিল রিয়াজ, সোহেল হাসান গালিব, শারদুল সজল, সায়ীদ আবুবকর, জুলফিকার শাহাদাৎ, খায়রুল বাবুই, ইমতিয়াজ মাহমুদ, ফজলুল হক তুহিন, আলতাফ শাহনেওয়াজ, ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ,
ড. হাসান নাশিদ, আমানত উল্লাহ খান, শাহিন রিজভি, নিলয় রফিক, তরুন ইউসুফ, হোসেন জয়দ্রথ, কাজী বর্ণাঢ্য, জব্বার আল নাঈম, সাইয়েদ জামিল, রাসেল রায়হান, সালেহীন শিপ্রা, শামশাম তাজিল, আমিনুল ইসলাম মামুন, হিজল জোবায়ের, স্বপঞ্জয় চৌধুরী, আমির হামজা, ফারজানা রুম্পা,
প্রতীক ওমর, অমিত গোস্বামী, হাসনাইন হীরা, রফিক লিটন, সাম্য শাহ, এমরানুর রেজা, শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ, মো. আ. কুদ্দূস, শাহরিয়ার কাসেম, পলিয়ার ওয়াহিদ, হাসান রোবায়েত, মোকাদ্দেস-এ-রাব্বী, ময়নুল ইসলাম, শোয়েব সাদাব, ফারুক মোহাম্মদ ওমর।
নোমান প্রধান, তাশফিন সহিব, রাশিদ খান, হাবীবাহ্ নাসরীন, মাহবুবা করিম, নাদিয়া জান্নাত, রিশি কাব্য, শামীম খান যুবরাজ, আবিদ আজম, সাইদ উজ্জ্বল, রিগ্যান এসকান্দার, আকিব শিকদার, শফিকুল আলম টিটন, আহমদ সাইফ, তাসরিন প্রধান, আশফিকা আঁখি, মাহমুদ মেঘ, নাজমুল হুদা পারভেজ, তাসফিয়া জেরিন।শরিফ আহমেদ, বিপ্রতীক মোস্তাক, সিদরাতুল মুনতাহা, রাসেল আবদুর রহমান, খোরশেদ মুকুল, রহমান সিদ্দিক, সফুরা খাতুন, যিশু মুহম্মদ, লোকমান হোসেন জীবন, রিহিল তাহসিন, বাপ্পা আজিজুল, কাজী রাফি, সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব, সাইফুর রহমান লিটন, দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়, তুহীন বিশ্বাস, খাদিজা ইভ, ফারা দিবা, এশা ইউসুফ, নয়ন আহমেদ, আল আমীন, চঞ্চল বাশার, ফারুক ফরায়েজি, আবুল বায়ান আল মুস্তাকিল, রাকিবুল ইসলাম শুভ, কাদের বাবু, নোমান আব্দুল্লাহ, রাতুল হরিৎ, মাসুম আওয়াল, শাহারিয়া সিদ্দিকী এবং শাদমান শাহিদ।
সংখ্যাটির নান্দনিক প্রচ্ছদ এঁকেছেন-আল নোমান। সংখ্যাটি অবশ্যই ইতিহাসের দলিল হিসেবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণযোগ্য। কবিতার এই অগ্রযাত্রায় ‘বৃত্তান্ত’ স্বমহিমায় সফল হোক। কবিতার জয় হোক। জয় হোক শাদমান শাহিদের ‘বৃত্তান্ত’