স্টাফ রিপোর্টার \ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাস যাত্রী আয়াতুল ইসলাম আয়াত (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২ জনে।
ডা. প্রণয় কুমার দত্ত বলেন, ‘সোমবার বিকেলে চমেক হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগ থেকে আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াতকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। তার মাথায় আঘাত ছিল। মাল্টিপল ট্রমাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আজ দুপুর দেড়টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।’ আয়াত হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া পাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসের আরও পাঁচ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ইমন নামের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ছয়জন।
ওই মাইক্রোবাসে ১৮ জন তরুণ-যুবক খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়লে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। হতাহতরা সবাই ‘আরঅ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক।