স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করা হয়। ২ অক্টোবরের মধ্যে বিচার শুরুর দাবি করা হয়। হাজারো সেনা কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দায়ে ১৯৭৭ সালে নিহত সৈনিক পরিবারের সদস্যরা। রবিবার (১৪ আগস্ট) চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরের সামনে ১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার গুম ষড়যন্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মানবন্ধনে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সৈনিক পরিবারের সদস্যরা এ দাবি করেন।
মানববন্ধনে সৈনিক পরিবারের সদস্যরা বলেন, আগামী ২ অক্টোবরে মধ্যে জিয়ার বিচার শুরু না করলে সচিবালয় ঘেরাও করে অনশনের ডাক দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর যে সব সদস্য জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা করা, তালিকা প্রকাশ করা, স্ব-স্ব পদে সর্বোচ্চ র্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সব সরকারি সুযোগ দিতে হবে।
নিহতদের শহীদ হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা এবং কবরস্থান চিহ্নিত করে তাতে নামসহ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সম্বন্বয়ক কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন বলেন, পবিত্র সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার ভুয়া কবর অপসারণ করতে হবে। ২ অক্টোবরের মধ্যে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা না হলে আমরা কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে, এবং সচিবালয় গেটে আমরা আমরন অনশন ধর্মঘট পালন করবো।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এ ঘটনা একটি নিকৃষ্ট ঘটনা। যে ঘটনাটি ঘটিয়েছিল খুনি জিয়াউর রহমান। যার নাম উচ্চারণ করতে আমার ঘৃণা বোধ হয়। আপনারা জানেন- বাংলাদেশ হাইকোর্ট তাকে ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে রায় দিয়েছে। যতদিন পৃথিবী বেঁচে থাকবে ততদিন এ রায় বেঁচে থাকবে আমাদের বিচারের খাতায়। ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে জিয়া কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। বিচারের নামে প্রহসন করে জিয়া একেক মিনিটে একেক বিচার করেছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি ৭৭ সালে যারা এই হাজার হাজার সৈনিকদের হত্যা করেছে তাদের নামেও কমিশন গঠন করা হোক। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতে পারে জিয়া কতখানি নরপিশাচ ছিল।