স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। আর তাতে করে চা শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ২৫ টাকা। ১৪৫ টাকা মজুরি হয়েছে। তাতে করে ১১ দিন কর্মবিরতির পর চা শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই আবার কাজে যোগ দেবেন চা শ্রমিকরা।
চা শ্রমিকদের নতুন মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘটের ১১তম দিনে বেলা তিনটায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল এ ঘোষণা দেন। নিপেন পাল বলেন, চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে সরকারের এই প্রস্তাব শ্রমিকেরা মেনে নিয়েছেন।
শনিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের হল রুমে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর এ ঘোষনা আসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরাসহ বিভিন্ন ভ্যালির সভাপতি-সাধারণসহ শ্রমিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ১০ আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাতদিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু মালিক পক্ষ এ সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে জাতীয় শোকদিবসের দিন কেবল বিক্ষোভ কর্মসূচি বন্ধ থাকে।
চা বাগানগুলোয় সৃষ্ট সংকট সমাধানে শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক ডাকে শ্রম অধিদপ্তর। গত সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ে আন্দোলনরত বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে মজুরি বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু শ্রমিক নেতারা মজুরি বাড়ানোর দাবি মেনে নেয়া ছাড়া ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। সবশেষ কয়েক দফা বৈঠকের পর আজ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।