স্টাফ রিপোর্টার \ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ না করায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৯ অক্টোবর তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
“আদালত অবমাননার ‘ অভিযোগের আবেদনে শুনানির পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
সমুদ্র সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশ না মানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ, উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ মো. তানভীর হাসান রেজাউল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী মনজিল জানান, ১১ বছর আগের হাইকোর্টের রায়ে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা ছিল। রায়ের পর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দোকানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাও হয়। ইদানীং সুগন্ধা পয়েন্টের সৈকত এলাকায় শতাধিক দোকান বসানো হয়েছে। আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো উচ্ছেদে বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নেননি। যে কারণে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে আবেদন করি। আদালত কক্সবাজারের ডিসিকে তলব করার পাশাপাশি রুল দিয়েছেন। ‘
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) জনস্বার্থের রিটে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দিয়ে মামলাটি চলমান (কন্টিনিউয়াস মেন্ডামাস) রেখেছিলেন উচ্চ আদালত।