স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার উত্তরা ও টঙ্গী এলাকার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সাড়ে ২০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার ও রাস্তার ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ ৭৯.২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমডি শফিকুল ইসলাম। ২০২৩ সালের জুনে চলাচলের জন্য এগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় গাজীপুর চৌরাস্তায় ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বিআরটি’র এমডি শফিকুল ইসলাম। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বিমানবন্দরের বলাকা কার্যালয়ের সামনে থেকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে বিআরটি করিডোর পরিদর্শন করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার, জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে ফ্লাইওভার অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চৌরাস্তা স্টেশন ও ফ্লাইওভার, বিআরটি ডিপো (নলজানি, গাজীপুর)।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পের ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ আরএসবি অংশের ১৬ কিলোমিটারের ৮২.৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বিবিএ অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৭২.৩৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে মোট নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৭৯.৯ শতাংশ।’ বাকি কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শতভাগ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলে যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত শতভাগ কাজ আমরা পাইনি। চাপ অব্যাহত রেখেছি। তাদের তিনটি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ফান্ড ও লোকবলের ঘাটতি দূর করা এবং মেজর সেফটি শতভাগ নিশ্চিত করা।’
এসব শর্ত পূরণে চাপ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে বিআরটি এমডি বলেন, ‘শর্তগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে শিগগিরই শর্ত পূরণের পর কাজ শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মেজর কাজগুলো শেষ হবে। বাকি কাজ ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ওই বছরের জুন নাগাদ প্রকল্পটি চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করি।’
জসীমউদ্দিনে গার্ডার দুর্ঘনার বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। কার কার দায় আছে, সেটি তারা দেখবে। তবে কনসালটেন্টেরও দায়িত্ব থাকে।’ প্রকল্প পরিদর্শন কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ এম আমানুল্লাহ নুরী। তার সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপদ অধিদফতর, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), সেতু কর্তৃপক্ষ, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।