স্টাফ রিপোর্টার : এক দফায় জামিন পেয়ে বের হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। আবার জেলে যেতে হয়। এ মাসের ২২ আগস্টে জামিন পেয়ে বের হয়েছেন। এখন আবার সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ আবেদন করেন। এর আগে সকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন আবেদনের অনুমতি নেওয়া হয়। গত ২২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিনের আদেশ দেন। তখন সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ বলেছিলেন, সম্রাট গুরুতর অসুস্থ। এর সপক্ষে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে আদালত কিছু শর্ত দিয়েছেন জানিয়ে আফরোজা শাহনাজ বলেন, সম্রাটকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আর আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। জামিনে কারামুক্ত হয়ে গত শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তখন র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকও তার বিরুদ্ধে মামলা করে।