স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর রোডের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে বাসাটি থেকে বিপুল পরিমাণ লিকার, এমডিএমএ, কোকেন, এলএসডি, ক্যানা বিস চকলেট, কুশ ও সিনথেটিক এবং বিভিন্ন রকমের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে শুরু হওয়া অভিযানের বিষয়ে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশিদুজ্জামান। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পাই যে বনানী এলাকার ১১ রোড়ের ৭৭ নম্বর হাউজের এম ব্লকের ব্যাংক এশিয়া বিল্ডিংয়ের লিফটের ৮ নম্বরের এই বাসায় অবৈধ মাদক বিক্রি ও সেবন করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে এখানে বিদেশি মদ এমডিএমএ, কোকেন, এলএসডি, ক্যানাবিস চকলেট, কুশ, ও সিন্থেটিক গাঁজা, সিসা ও লিকুইড গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এ সময় ওই বাসা থেকে সেলিম সাত্তার নামে একজনকে আটক করা হয়।। তিনি সাবেক বলাকা ব্লেড ও বর্তমানে সামা রেজা কোম্পানির একজন পরিচালক। তার বাসায় তিনি একটি অবৈধ মিনিবার তৈরি করেছিলেন।
আটক সাত্তার কর্মকর্তাদের জানিয়েছে , তিনি বাংলাদেশ ও সুইডেনের দৈত নাগরিক। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিদেশে যাতায়েতের মাধ্যমে এসব মাদক সংগ্রহ করতেন। এই বাসাটি তার নিজস্ব। উদ্ধার হওয়া মাদক তিনি নিজে ব্যবহার ও বিক্রি করে আসছিলেন। তবে তার মাদক বিক্রি ও সেবনের লাইসেন্স নেই। তিনি এ কাজটি কতদিন ধরে করছেন সেটি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা ।
বাসার ভেতরে মিনি বারে কারা আসত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসা ভেতরের বারে আটক সাত্তারের বন্ধুবান্ধবসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা আসতেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন জনের কাছে মাদক বিক্রি কনতেন। পাশাপাশি যেসব কষ্টি পাথর, মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে সে মূর্তিগুলো আসল না। এগুলো বহু পূরণো মৃৎ শিল্প। বাসাটিতে স্ত্রী ও কাজের লোকসহ চার জন থাকতেন। তবে স্ত্রীর কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি।
আটক সাত্তারের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।