আশীষ কুমার দে
“রতন সেন যদি ভারত ভাগের পর পূর্ববঙ্গ (বাংলাদেশ) ছেড়ে ভারতে চলে আসতেন তাহলে আমার জায়গায় (মূখ্যমন্ত্রী) তিনি থাকতেন।” এই মন্তব্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে মূখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী প্রখ্যাত বামপন্থী রাজনীতিবিদ জ্যোতি বসুর। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা ও মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক রতন সেনের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের খবরে প্রচণ্ড শোকাহত হয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জ্যোতি বসুর এই অভিব্যক্তির মধ্য দিয়েই এটা পরিস্কার যে, রতন সেন কতো বড়মাপের নেতা ছিলেন।
বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িকতা ও শোষণমুক্তির চেতনায় লালিত সকল মত-পথের মানুষের কাছে অত্যন্ত শোকাবহ দিন। ১৯৯২ সালের এদিন সকাল ১০টায় খুলনা কালেক্টরেট ভবন সংলগ্ন (ডিসি ও এসপি অফিসের সামনে) রাজপথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন রতন সেন। ৩০তম হত্যাবার্ষিকীতে এই মহান দেশপ্রেমিকের কর্মবহুল অমর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) খুলনা জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ও বিশিষ্ট এই কৃষকনেতা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ‘কমরেড রতন সেন’ নামে পরিচিত ছিলেন। ধর্ম-বর্ণ, দলমত ও শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকলের কাছে ‘রতন দা’ হিসেবেই শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন তিনি।
চিরঅকৃতদার মানুষটির পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড এবং ঘাতকদের শাস্তি না হওয়া প্রসঙ্গে কিছু লেখার আগে তাঁর পারিবারিক পরিচিতি ও প্রিয় মাতৃভূমির প্রতি মমত্ববোধ সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করতে চাই। রতন সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ এপ্রিল বৃহত্তর বরিশালের উজিরপুরে। পিতা নরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ খুলনার ব্রজলাল (বি এল) কলেজের প্রধান অফিস সহকারি। পিতার কর্মসূত্রে সেখানেই কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর।
দৌলতপুর মহসিন স্কুল থেকে ১৯৩৭ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন (এসএসসি) পাশ করে দৌলতপুর বি এল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৩৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৪২ সালে স্নাতক পাশ করেন। একই বছরের আগস্ট মাসে অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন তিনি। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর মা-বাবা, ভাইয়েরা দেশত্যাগ করলেও রতন সেন যাননি। নাড়ীর টানে থেকে যান প্রিয় মাতৃভূমিতে। তাঁর অনেক রাজনৈতিক সহকর্মী মুচলেকা দিয়ে কারামুক্তির পর ভারতে পাড়ি জমালেও তিনি তা করেননি। খুলনায় কমিউনিস্ট পার্টির অনেক নেতা-কর্মী মাওবাদের অনুসারী হয়ে দল ভাঙলেও রতন সেন তাদের সেই ভ্রান্ত পথ অনুসরণ করেননি। জেল থেকে বের হয়ে কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে আবার পার্টির কাজ শুরু করেন। নিরলস প্রচেষ্টায় খুলনার পার্টিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মর্যাদার আসনে।
১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্বের ভিত্তিতে জন্ম হয় পাকিস্তান রাষ্ট্রের। জন্মের পর থেকেই ধর্মভিত্তিক দেশটির শাসক শ্রেণি বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছিল। পাকিস্তানের সেই শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে কমিউনিস্ট পার্টি। একজন তরুণ কমিউনিস্টকর্মী হিসেবে রতন সেনও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সে আন্দোলনে। এর ফলে পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর নেমে আসে দমন-পীড়ন।
১৯৪৮ সালে রতন সেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫৬ সালে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চলে যান রূপসা থানার মৈশাঘুনি গ্রামে জেলসঙ্গী কৃষক নেতা শান্তি ঘোষের বাড়িতে। এলাকাবাসীর অনুরোধে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন নিকটবর্তী আজগড়া হাইস্কুলে। অল্পদিনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় ‘মাস্টার মহাশয়’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারির এক বছরের মধ্যে ফের গ্রেপ্তার হন তিনি। টানা ১০ বছর অন্ধ প্রকোষ্ঠে থাকার পর ঊনসত্তরের ফেব্রুয়ারিতে গণঅভ্যুত্থানের সময় কারামুক্তি ঘটে তাঁর।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর খুলনা অঞ্চলে পার্টির সদস্য ও সমর্থকদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাঠাতে থাকেন। ১১ এপ্রিল সহযোদ্ধা কৃষক নেতা বিষ্ণু চ্যাটার্জী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগীদের হাতে নিহত হওয়ার পর রতন সেন ভারতে চলে যান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে পানতোড়, পরে টার্কী মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে অবস্থান করেন।
সেখানে আশেপাশের শরণার্থীশিবির থেকে ছাত্র, যুবকদের সংগঠিত করে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন-ন্যাপ-কমিউস্টি পার্টির যৌথ গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন খুলনা জেলা কমিটির সম্পাদক। ১৯৮৯ সালে কংগ্রেসের মাধ্যমে পার্টিতে সভাপতির পদ সৃষ্টি হলে তিনি পার্টির খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রতন সেন সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বৈরাচার এরশাদকে হঠিয়ে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আশি’র দশকে বিশ্বব্যাপি আলোচিত ও নজরকাড়া এক কর্মসূচি পালন করেছিল সিপিবি। জনগণের নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাঁকে দেবো’ এই স্লোগান নিয়ে সিপিবি ও এর নেতৃত্বাধীন গণসংগঠনসমূহের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা সারা দেশ থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় মহাসমাবেশে মিলিত হয়েছিলেন।
সিপিবির ওই অভিনব কর্মসূচির সফলতার মধ্য দিয়েই তৎকালীন আট দল, সাত দল ও পাঁচ দলের যৌথ রূপরেখায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছিল এবং তীব্র গণআন্দোলনের মুখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছিলেন স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগান্তকারী ওই ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন রতন সেন।
দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে গড়ে ওঠে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ২৬ মার্চ গণআদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধীদের শিরোমনি জামাত নেতা গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। এরপর জাহানারা ইমামসহ ২৪ জন বরেণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয় তৎকালীন বিএনপি সরকার।
খুলনায়ও ২৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ষড়যন্ত্রমূলক মামলা; যাদের মধ্যে রতন সেনও ছিলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীচক্রের দল ‘ফ্রিডম পার্টি’র মুখপত্র দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় ১৯৯২ সালের মে মাসে ঘাতক-দালালবিরোধী ৩৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ভারতের দালাল আখ্যা দিয়ে তাঁদের নাম ছাপা হয়। সেই তালিকার শীর্ষে ছিল রতন সেনের নাম। এর মাত্র দুই মাসের মাথায় রতন সেন নিহত হন। তাঁর ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ২২ বছর কেটেছে জেলে অথবা আত্মগোপন অবস্থায়। পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠেই কাটিয়েছেন যৌবনের ১৭টি বছর।
রতন সেন হত্যার পর দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। হরতাল, মিছিল, সমাবেশ চলে দেশজুড়ে। কেঁপে ওঠে তৎকালীন শাসক দল বিএনপির মসনদ। জনরোষের মুখে সরকার বাধ্য হয় পৈশাচিক এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে। পুলিশি তৎপরতায় গ্রেপ্তার হয় ভাড়াটে খুনী সাগর ও মুরাদ নামের দুই যুবক। আদালতে দেয়া তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা হিসেবে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খুলনা মহানগর বিএনপির তৎকালীন সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজাকে।
পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য গডফাদার হিসেবে বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও ভাড়াটে খুনীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের স্থল হিসেবে শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধী ও এক সময়ের প্রভাবশালী জামাত নেতা মাওলানা এ কে এম ইউসুফের (প্রয়াত) ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখ করেছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক হাফিজুর রহমান আসামীদের স্বীকারোক্তি ও সাক্ষীদের বক্তব্যসহ এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই শেষে মোর্ত্তজা, সাগর ও মুরাদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
আদালতে বিচারকাজও দ্রুত সম্পন্ন হয়েছিল। ১৯৯৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনার তৎকালীন অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ তাহা মোল্লা এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু সকল আসামীকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রায়ের পর বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো অভিযোগ উঠেছিল, প্রধান আসামী সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা শাসক দল বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় হত্যাকান্ডে জড়িতদের শাস্তি হয়নি। এমনকি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনাও একই অভিযোগ করে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে জনগণের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে রতন সেন হত্যার পুনর্বিচার করা হবে। ১৯৯৬ সালে সরকার পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর মামলাটি পুনর্বিচারের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হলে তা আদালতের কার্যতালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অজ্ঞাত কারণে আর শুনানি হয়নি।
ইতিহাসের কালস্রোতে দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে রতন সেন হত্যা মামলার পুনর্বিচারের আর্জি। তবে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার মতো রতন সেন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় মনের গভীরে যতোটা ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি, তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছি পৈশাচিক এ হত্যার বিচারের দাবিতে শক্তিশালী আন্দোলন কিংবা কোনো আইনি লড়াই না দেখে।
এছাড়া বেশি ক্ষোভ জাগে খুলনার সাবেক কমিউনিস্ট নেতা এক আইনজীবীর ভূমিকায়; যিনি ১৯৯৭ সালে খুলনার শঙ্খ মার্কেটে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের মামলার আসামী সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার জামিন আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেছিলেন। সেদিন আমি অন্য একটি কারণে খুলনার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতকক্ষে উপস্থিত থাকায় স্বচক্ষে এ দৃশ্য দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। যদিও এটা তাঁর পেশা। তবুও প্রশ্ন জাগে- রতন সেন হত্যা মামলার আসামীর পক্ষে আইনজীবী হওয়া কতোটা গ্রহণযোগ্য ও নৈতিক ছিল? এর অনেক পরে পার্টির সদস্যপদ হারিয়েছিলেন তিনি।
রতন সেন মানবমুক্তির যে স্বপ্ন দেখতেন, লাখো মানুষের মতো আমিও দেখেছিলাম সে স্বপ্ন। আমার আজো বিশ্বাস, এটাই বিশ্বের সর্বাধুনিক ও সর্বশ্রেষ্ঠ দর্শন। রতন সেনের লালিত আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর অগণিত অনুসারী আমৃত্যু খুনীদের বিচার চেয়ে যাবে। তাঁর প্রদর্শিত পথ বেয়ে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেদেরকে সঁপে দিয়ে বদলা নেবে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের।
মৃত্যুঞ্জয়ী কমরেড রতন সেন- রক্তিম অভিবাদন।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।