মিথুন আশরাফ – সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও নেপাল ফাইনালে উঠেছে। তাতে করে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয় নেপাল। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। যে দল জিতবে, শিরোপা তাদেরই হয়ে যাবে।
শুক্রবার ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ৮-০ গোলে ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। একইদিন স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে নেপাল। সেমিফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় নেপাল।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এরআগে এ চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই ফাইনালে খেলেছিল। ২০১৬ সালে ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয়। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। এবারও ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়। যে স্বপ্ন নিয়ে নেপালে চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ, সেই স্বপ্ন সফল হয়। এখন ভারতকে হারাতে পারলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নও সফল হবে।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এমনকি ভারতকেও হারিয়ে দেয়। যে ভারত এরআগে হওয়া পাঁচ চ্যাম্পিয়নশিপের সবকটিতে শিরোপা জিতেছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এরআগে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে করে ৩ ম্যাচে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের সেরা দল হয়েই সেমিফাইনাল খেলতে নামে বাংলাদেশ। ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত থেকে ফাইনালেও উঠল বাংলাদেশ।
নেপালও গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচেও হারেনি। ভুটানকে ৪-০ গোলে এবং শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলে। অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে খেলে। সেমিফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলা নিশ্চিত করে নেয়। তাতে করে এবার যে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নতুন চ্যাম্পিয়ন দল মিলছে তা নিশ্চিত হয়ে যায়।
টানা ষষ্ঠবার শিরোপা জেতার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিল। এরআগে ২০১০ সালে প্রথমবার, ২০১২ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালে তৃতীয়বার, ২০১৬ সালে চতুর্থবার ও ২০১৯ সালে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এবার ফাইনালই খেলতে পারল না ভারত। বাংলাদেশ ও নেপাল ফাইনালে খেলবে।
