Search
Close this search box.

বিএনপি নেতারা হৃদয়ে পাকিস্তানকে লালন করেন- তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার- কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‌‘বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‌‘বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব তার বক্তব্যের মাঝে স্পষ্ট করেছেন তারা হৃদয়ে পাকিস্তানকে লালন করেন। তারা মনে মনে পাকিস্তানকে লালন করেন এবং সুযোগ পেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবেন। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম তার বসতভিটায় বসে কীভাবে বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম! তার এই বক্তব্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি অবমাননা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।

তিনি আরো বলেন, আজকের সমাবেশের শপথ হচ্ছে, বিএনপি যেহেতু প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, তাদের সব জায়গায় প্রতিহত করা হবে।

বুধবার  কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‌‘বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যেখানে পাকিস্তান আজকে বলছে বাংলাদেশ তাদের পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করে গেছি। পাকিস্তান আজকে বাংলােদশের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসকে অতিক্রম করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সে প্রশংসা পাকিস্তান তো করছেই, সেই সঙ্গে সমস্ত পৃথিবীও করছে। সেখানে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেন, পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিল! অর্থাৎ আবার পাকিস্তানে ফেরত যেতে চায়। সুতরাং এই কথার মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব প্রমাণ করেছে বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা দেশটাকে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি রাজপথে হামলা করছে, মানুষের ওপর হামলা করছে, আর গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করছে। মাঝে মধ্যে বলে এবার প্রতিরোধ। এবার বাংলাদেশের মানুষ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা একাত্তরে যেভাবে অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, আজ বিএনপি যখন নিজেদের স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করেছে, তাদের সব জায়গায় প্রতিরোধ করতে হবে।

এ সময় তিনি সব ছাত্র-যুবক জনতার প্রতি স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রধান বক্তা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি রোকেয়া প্রাচী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লায়ন মুহাম্মদ মীযানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদার, আবৃত্তি সম্পাদক মুনা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য রাজ সরকার প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ