স্পোর্টস রিপোর্টার – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৬০ রান করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৯৮ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ১০০ রানও করতে পারেনি। তাতে করে ৬২ রানে হারে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানরা শুরুটা ধীর করলেও শেষদিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে সংগ্রহ বাড়ায়। সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে ঝড় তোলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তিনি ১৭ বলে একটি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ৩টি উইকেট পান। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট দখল করেন।
বাংলাদেশ ৫০ রানের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। শেষপর্যন্ত ৯৮ রানের বেশি করা যায়নি। মোসাদ্দেক হোসেন ২১ ও নুরুল হাসান সোহান ১৩ রান করেন। মুস্তাফিজুর রহমান ১৮ রান করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ ১৬ রান করেন। ফজল হক ফারুকী ৩ উইকেট শিকার করেন।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি খেলতে নামে বাংলাদেশ। মনে করা হয়, এবার ঘুরে দাড়াবে। কিন্তু উল্টো ব্যর্থতাতেই পড়ে থাকল। ব্রিসবেনে আফগানদের কাছে নাজেহাল হওয়ার পর বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
সবশেষ এশিয়া কাপ কিংবা নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশিয় সিরিজে সবকটি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। শুধু কী তাই। সবশেষ ২৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের চারটি ম্যাচ জিতেছে। ১৯টিতে হেরেছে। তাও আবার আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ জিতেছে। বড় কোন দলের বিপক্ষে একটি জয়ও নেই। এই সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছে।
প্রতিপক্ষ দলটি আফগানিস্তান হওয়ায় আগেই ভয় ছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ডও খুব ভালো নয়। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হচ্ছে। ৯টি ম্যাচ হয়েছে। মাত্র ৩টি ম্যাচ বাংলাদেশ জিততে পেরেছে। ৬টিতেই হেরেছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলতে নামলেই যেন ভয় কাজ করে বাংলাদেশের। প্রস্তুতি ম্যাচেও আফগানিস্তানের কাছে হার হলো বাংলাদেশের।