Search
Close this search box.

নির্বাচন কমিশন গঠন ও শপথ গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করলো জাতীয় নাগরিক কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার: গণহত্যাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং কমিশনারদের নিয়োগসহ শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা। এ প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, `২০২২ সালে তৎকালীন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একটি আইন প্রণয়ন করেছিলো যা ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন-২০২২’ হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী সরকারের ওই আইন তখন বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলো। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ওই আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি গঠন করে। অথচ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যু্থানের পর ওই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রথম কাজই হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পদ্ধতি ঠিক করা। তারা কোনো প্রস্তাব দেওয়ার আগেই ইতিমধ্যেই সরকার ইসি গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, সার্চ কমিটি গঠনের আগে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন কি প্রস্তাব পেশ করে তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিলো। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও কোনো কোনো পক্ষ নারাজ।

আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

আমরা স্পষ্ট লক্ষ করছি, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। এ কাজ গণঅভ্যু্থানের কমিটমেন্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণঅভ্যুথানের শরিক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে ড. মুহম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ড. ইউনুস দৃঢ়তার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেবেন। এটাই শিক্ষার্থী, তরুণ সমাজ ও অভ্যু্থানের শরিকরা প্রত্যাশা করেন । আমাদের প্রত্যাশা, তিনি শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের বার্তা বুঝতে পারেন এবং তাদের আহবানে সাড়া দেবেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

সর্বশেষঃ