Search
Close this search box.

বিএসএমএমইউ এর নির্মানাধীন বিল্ডিং থেকে নির্মাণ সামগ্রী চুরির চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন বহির্বিভাগের বর্ধিতাংশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সদ্য উদ্বোধনকৃত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে ধারাবাহিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২২ শে সেপ্টেম্বর মধ্য-রাতে,বহির্বিভাগ-২ এর বেইজমেন্ট থেকে তিনটি পিকআপ নিয়ে প্রায় ১৫ জন শ্রমিক রাত ১০টার দিকে ১ নং গেট দিয়ে বেসিক ভবনের কাছে পার্ক করে।হাসান এন্ড সন্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছিল,গাড়ীর শ্রমিকরা কর্তব্যরত আনসারদের ঠিকাদারের গাড়ী বলে জানায়।

রাত ১২ টার পরে এই তিনটি ট্রাক ২ নং বহির্বিভাগের বেইজমেন্ট থেকে বিভিন্ন থাই এলুমিনিয়াম,লোহার এংগেল,বার ও তামা পিকআপে ভর্তি করে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ড্রাইভারের সন্দেহ হয়।পরে কর্তব্যরত আনসার গেইটপাশ দেখতে চাইলে ভূয়া একটি গেইটপাশ দেখায়।

পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩ টা পিকআপ জব্দ করে আনসার ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়।এই সব সরঞ্জামের ক্রেতা ফারুক জানায় সে বিশ লাখ টাকায় এই পন্যগুলি ঠিকাদারের কাছ থেকে কিনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক শহিদুল হক বাদী হয়্রে শাহবাগ থানায় একটি মামলা (মামলা নং ৩৮,২৮/৯/২২, আই ও এস আই যুন নুন হোসেন))দায়ের করে।এ-ই সব সরঞ্জামাদির বাজারমূল্য প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাধিক আলোচিত এই চুরির ঘটনা তদন্ত চলাকালীন গত ১২ ই অক্টোবর একই ভাবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং থেকে পিকআপ নিয়ে সরঞ্জাম নিয়ে পালানোর সময় আনসার এর কাছে ধরা পড়ে।এ-ই সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের এইচডিসিএল এর বেশ কয়েকজন স্টাফ ধরা পড়ে।সরঞ্জাম গুলির ক্রেতার ভাষ্যমতে পূর্বে প্রায় কোটি টাকার উপরে জিনিস বিক্রয় করা হয়।

এই হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালক এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশেই এইগুলি বিক্রয় করা হয় বলে উপস্থিত স্টাফ রা জানায়।সহকারী পরিচালক রোকুনাজ্জামান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করে(মামলা নং ২৫,১৩/১০/২০২২)।আসামী ধরা খাওয়ার পরেও অজ্ঞাতনামা দিয়ে অভিযোগ করায়,কর্তৃপক্ষ যে ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই তাই মনে করছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডাঃ হাবিবুর রহমান এর নের্তৃত্বে আভ্যন্তরীন তদন্ত চলছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এমন কলংক লাগানোর চেষ্টা করেছে তাদের বিরূদ্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে উপাচার্য্য ডাঃ শরফুদ্দিন আহমেদ অংগীকার করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ বলেন উভয় মামলাতেই আমরা বেশ কয়েক জনের নাম পেয়েছি, তদন্ত শেষে অতিদ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ