মিথুন আশরাফ – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে আগামীকাল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার লড়াই হবে। বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে এ্যাডিলেডে বাংলাদেশ সময় ২ টায় খেলা শুরু হবে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ নভেম্বর এ্যাডিলেডে সকাল ১০ টায় পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচে জিততে পারলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। তা হওয়া কঠিন। তবে যদি কোনভাবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার একটি ম্যাচও জেতা যায়, তাহলে অঘটন হবে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাই মনে করছেন।
বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের বিচারে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ-ভারত একই কাতারে। এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। সমান তিন ম্যাচে ভারতের পয়েন্টও ৪। দুদলেই সেমিতে যাওয়ার সমান সুযোগ আছে। পাকিস্তানের অবস্থান আরও নিচে। ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২হারে ২ পয়েন্ট পেয়েছে পাকিস্তান। এই দুটি প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলেই বাংলাদেশ প্রথমবার সেমিফাইনালে ওঠার ইতিহাস গড়বে। ম্যাচের বিচারে দুটি ম্যাচ হলেও জয় পাওয়ার বাস্তবতা কঠিন।
প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত-পাকিস্তান দুদলই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই নিজেদের অবস্থান অকপটে স্বীকার করলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলা তাঁদের মূল লক্ষ্য। যদি দুদলের একটির বিপক্ষেও জেতা যায় তাহলে সেটা হবে অঘটন।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো, বাকি দুই ম্যাচ খুব ভালোভাবে খেলা। দুই ম্যাচের কোনটিও যদি জিততে পারি, অঘটন হিসেবে গণ্য হবে। সেই আপসেটটা করতে পারলে আমরা খুশি হব। না করতে পারলে বেশি কিছু বলার নেই।
এ বারের বিশ্বকাপে অঘটনটাই বেশি হয়েছে। বিশ্বকাপের শুরু ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার হার দিয়েই হয় অঘটন শুরু। পাকিস্তানকে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন অঘটন ঘটাতে পারলে খুশি হবেন সাকিব, দুই দল কাগজে-কলমে আমাদের চেয়ে অবশ্যই ভালো। তবে আমরা যদি ভালো খেলি, আমাদের যদি দিন থাকে তাহলে কেন পারব না? এই বিশ্বকাপেই আমরা দেখেছি আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডকে, জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ওরকম একটা ফল হলে অবশ্যই আমরা খুশি হব।
এ ছাড়া ভারতকে বিশ্বকাপের ফেভারিট দল অ্যাখ্যা দেন সাকিব, ভারত এখানে বিশ্বকাপ জিততে এসেছে। আমরা ফেভারিট নই, বিশ্বকাপ জিততে এখানে আসিনি। এখান থেকেই আপনি পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। আমরা ভালো করেই জানি, ভারতের বিপক্ষে জিতলে এটি আপসেট হবে। আমরা চেষ্টা করব সেরা খেলাটি খেলতে এবং আপসেট করতে।
এরআগে অবশ্য ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও একবারই হারাতে পেরেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ১১ ম্যাচের ১০টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। বোঝাই যাচ্ছে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জেতা কতটা কঠিন। আর তাই ভারতকে হারাতে পারলে বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো আসরে তাহলে অঘটন হিসেবেই দেখতে রাজি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষেও জয় মিলেছে। তবে অনেকদিন আগে। ২০১৫ সালে একবার ও পরের বছর একবার করে মোট ২ বার জিতে বাংলাদেশ। তবে ১৭ ম্যাচের বাকি ১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হার হয়েছে। এখন ভারত ও পাকিস্তানকে হারাতে পারলে অঘটনই ঘটবে বলে মনে করছেন সাকিব।
