স্টাফ রিপোর্টার- দেশে আগুন-সন্ত্রাস করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকে দেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত সম্ভব হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করলে মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি সম্ভব।
বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স একাডেমিতে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অচিরেই জঙ্গিবাদের মতো করে মাদককেও নির্মূল করা হবে। শুধু সাধারণ জনগণই নয়, মাদকের সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলেও তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, মাদককে শুধুমাত্র পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এটি সামাজিক সমস্যা। তাই সামাজিকভাবেই দূর করার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের শক্তির উৎস জনগণ। জনগণের একমাত্র সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই মাদক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ কাজ করে। এ নির্দেশনা পালনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক । তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হবে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা পুনরাবৃত্তি করে আইজিপি বলেন, ‘সন্ত্রাসী-অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময়ই জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা করবে পুলিশ।
মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানিক কার্যক্রম চলবে। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারকেও দায়িত্ব নিতে হবে৷’
আইজিপি বলেন, গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের সাইবার টিম সচেতন আছে। গুজব ছড়ানোর সঙ্গে কেউ যদি জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমান সরকারের সময়ে আমাদের ক্যাপাবিলিটি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন ও বিধির আলোকে প্রশিক্ষণ চলছে এবং আমরা যথেষ্ট সাফল্য পাচ্ছি।
প্রবাসীদের বিষয়ে পুলিশ আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের যেকোনো সমস্যায় গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে পুলিশ। প্রবাসীদের জন্য আলাদা হটলাইনও রয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিট পুলিশিং রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল রিয়াজ শাহরিয়ার, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ইকবাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার।