স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতিটি ভবনে ও বাড়িতে জেনেরেটর, এসি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট ঠিকই স্থাপন করা হয়। কিন্তু কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভবনে ইটিপি স্থাপন করা হয় না। পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি বৃষ্টি পানি নামার সারফেস ড্রেনে দিয়ে শহরের খাল ও জলাশয় দূষণ করা হচ্ছে। শহর বাঁচাতে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।’
বুধবার স্থানীয় সময় সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক এ আশিয়ান ইন্সটিউট অব টেকনোলজিতে গ্লোবাল ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন সেন্টার লান্চ অনুষ্ঠানে Paradigm Shift – Scaling the SDG 6.2 Impacts শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
Bill & Melinda Gates Foundation এবং Unicef যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।
প্যানেল আলোচনায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘শহরের পরিবেশ রক্ষায় নগরবাসীকে নিজস্ব উদ্যোগে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এ বিষয়ে ডিএনসিসিতে আমরা ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিভিন্ন অঞ্চলের সোসাইটিগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ও ওয়ার্কশপ করেছি। তাদের স্ব স্ব এলাকায় জনগণকে সচেতন করার নির্দেশ দিয়েছি। খালে বা সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মেয়র আরও বলেন, ‘পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংযুক্ত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান সম্ভব। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট বাজারে সহজলভ্য করতে হবে।
এসময় কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থার জন্য জনগণের মানসিক পরিবর্তন খুবই জরুরী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সবশেষে ডিএনসিসি এলাকায় আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনগুলোকে গবেষণা ও কারিগরি সহায়তা দেয়ার আহবান করেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।