বাসস – রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে রাষ্ট্র প্রধানের পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগেলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
দলের সিনিয়র নেতৃবৃদেকে সাথে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি স্মৃতি সৌধে রাখা পরিদর্শক বইতেও স্বাক্ষর করেন।
পরে অন্যান্য রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পৃথক আরেকবার পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন তিনি।
জাতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে মূল্যবান দিন বিজয় দিবস উদযাপন করছে। ৫১ বছর আগে এই দিনে নয় মাসের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করে বাঙালির বিজয় সূচিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
দেশ আজ বিজয় দিবস পালন করছে। দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম লাভ করে। দিবসটি বাঙ্গালি জাতির কাছে অত্যন্ত গৌরবময় ও মূল্যবান।