Search
Close this search box.

৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগ দুদককে তদন্তের নির্দেশ

৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগ দুদককে তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার – ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন সার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাইকোর্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যানকে এই অভিযোগের বিষয়ে ২০শে জানুয়ারির মধ্যে আদালতে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রনোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন।

সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের ৫৮২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মেসার্স পোটন ট্রেডার্স বন্দর থেকে খালাসের পর গোডাউনে না নিয়ে সরকারের আমদানিকৃত ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার পৌছে না দিয়ে আত্মসাৎ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন), যিনি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, তিনি মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের মালিক।

পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ