স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকা দুষ্কর। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপির বড় সমাবেশ-মিছিল করতে জামায়াতের কর্মী লাগবে।
বিএনপি ও জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে তারা এমন স্থানে পৌঁছেছেন, বিএনপিকে বড় মিছিল করতে হলে, সমাবেশ করতে হলে জামায়াতের সমর্থক-কর্মী লাগবে।
জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। আদালতের বিষয়ে দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের মধ্যে নেতা কে, কাকে নিয়ে তারা নির্বাচন করবেন? বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান কেউই নির্বাচনে আসতে পারবেন না। কাকে সামনে রেখে তারা নির্বাচন করবেন?
মন্ত্রী বলেন, বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির অনেক বড় বৈঠক হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নিয়েছে। ফরিদপুরে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। তবে কোথাও কোনো সহিংস পরিস্থিতি হয়নি। পরিস্থিতি বেশিদূর গড়ায়নি।
বিএনপি শোভাযাত্রা করলে আমরা শান্তি সমাবেশ করব জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়ব না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করব।
বুধবার বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে ঢাকার বাইরে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও রাজধানীতে কোনো ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে কাদের বলেন, সমাবেশ ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে যাতে জানমালের ক্ষতি না হতে পারে, আর কোনো সহিংসতার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সতর্ক অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমরা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেইনি। এটি ১০ জানুয়ারি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল জানিয়ে কাদের আরও বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের জগাখিচুড়ি ও অর্থহীন ঐক্য কতটা টেকসই হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওই পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই।