স্টাফ রিপোর্টার- আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিদ্যুৎ। নির্মাণাধীন প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
শুক্রবার ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট তাপভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কভিডের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রকল্পটির কাজ এগিয়ে নেয়া হয়েছে। সঞ্চালন লাইনে কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। মাতারবাড়িতে ১ হাজার ২০০ বিদেশীসহ ১১ হাজার লোকবল নিয়োজিত।
এর আগে চলতি বছর জুন মাস নাগাদ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি আরো জানিয়েছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ২০১৬ সাল থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে প্রায় ১০১.৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে ৫.০ কিলোমিটার) দীর্ঘ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছর জুন মাস নাগাদ এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং কার্যক্রম তথা পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। তন্মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিড দুই হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সরকারি খাতে ১০ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট, যৌথ উদ্যোগে এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট, বেসরকারি খাতে নয় হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট ও আমদানি এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত (১৬ এপ্রিল ২০২২) সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৭৮২ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
